ICDS Centre: টিকটিকি মাখা খিচুড়ি খেল ১৫ শিশু! মিড ডে মিলে কবে বন্ধ হবে ‘সাইড ডিশ’?

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 08, 2023 | 1:17 PM

ICDS Centre: স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে এখনও পর্যন্ত  ১৫-২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খয়রাশোলের তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্বে প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত রয়েছেন

ICDS Centre:  টিকটিকি মাখা খিচুড়ি খেল ১৫ শিশু! মিড ডে মিলে কবে বন্ধ হবে সাইড ডিশ?
অসুস্থ ১৫ শিশু
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বীরভূম: আইসিডিএস কেন্দ্রে খিচুড়িতে টিকটিকি। অসুস্থ বেশ কিছু পড়ুয়া। বীরভূমের খয়রাশোলের রানিপাথর গ্রামের ঘটনা। খয়রাশোল ব্লকের রানিপাথর গ্রামের দাসপাড়া ৩৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়িতে দেখা যায় টিকটিকি। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শিশু ও মা’দের খয়রাশোলের নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে এখনও পর্যন্ত  ১৫-২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খয়রাশোলের তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্বে প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত রয়েছেন। পাশাপাশি দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছেন অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

সকালে আর পাঁচটা দিনের মতোই আইসিডিএস কেন্দ্রে গিয়েছিল গ্রামের বাচ্চা। প্রসূতিরাও গিয়েছিলেন। ছুটির পর তারা খিচুড়ি নিয়ে আসে। বাড়িতে ফিরে সেই খিচুড়ি অনেকে খেয়েও ফেলে। জানা গিয়েছে, তারপর একে একে অসুস্থ হতে থাকে তারা। কারোর বমি হয়, কারোর পায়খানা। আইসিডিএস কেন্দ্রে অপর একজন খিচুড়ি নিতে গিয়ে দেখেন, গামলার মধ্যে পড়ে রয়েছে মরা টিকটিকি। রীতিমতো সিদ্ধ হয়ে মাংস গলে গিয়েছে। সেই খিচুড়িই বাকিদের দেওয়া হচ্ছিল ততক্ষণ।

গ্রামে বিষয়টি চাউর হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। তারপর জানা যায়, যারা খিচুড়ি খেয়েছিল, তারা অসুস্থ। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আইসিডিএস কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের বাসিন্দারা। মিড ডে মিলে টিকটিকি পোকামাকড় পাওয়ার ঘটনা একাধিকবার সামনে এসেছে। প্রশাসনের তরফেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।

কিছুদিন আগেই বীরভূমের একটি গ্রামে লক্ষ্মীপুজোর বাসি খিচুড়ি খেয়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৩০ জন। তারপর গ্রামবাসীরা আতঙ্কে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিল রান্না করানোই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার মধ্যেই এই ঘটনা। প্রশাসনের তরফ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক গিয়ে পৌঁছননি।

Next Article