Birbhum School: ৩০০ পড়ুয়ার জন্য ২ শিক্ষক, বাধ্য হয়ে পড়াতে এগিয়ে এলেন ১০ গ্রামবাসী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 18, 2022 | 1:58 PM

Birbhum: বস্তুত, এসএসসি বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন বেকার সংখ্যা বাড়ছে ঠিক সেভাবেই রাজ্যের একাধিক স্কুলে শিক্ষকের অভাবও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা যেন তারই নিদর্শন।

Birbhum School: ৩০০ পড়ুয়ার জন্য ২ শিক্ষক, বাধ্য হয়ে পড়াতে এগিয়ে এলেন ১০ গ্রামবাসী
স্কুলে পড়াচ্ছেন পড়ুয়ারা (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বীরভূম: পড়ুয়া সংখ্যা নয়-নয় করে অন্তত তিনশো। তবে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দু’জন। তাহলে এত ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াচ্ছে কে? একটু খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা গেল গ্রামেরই দশ জন যুবক বিনা পারিশ্রমিককে পড়াচ্ছেন ওই বিদ্যালয়ে। শুনলে অবাক হতেই হয়। তবে এমনটাই জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।

স্কুলের ইতিহাস

বীরভূমের রামপুরহাটের চাঁদপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। ২০১২ সালে ২ জানুয়ারিতে পথা চলা শুরু। তখন থেকেই স্কুলে রয়েছেন দু’জন শিক্ষিকা। প্রথমে সংশ্লিষ্ট স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো শুরু হয়। এরপরে ২০১৬ সাল থেকে এই স্কুলে মাধ্যমিকও পড়ান শুরু হয়। তবে একাধিকবার স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে শিক্ষক নিয়োগের বিষয় জানান হলেও নিয়োগ হয়নি।

বস্তুত, এসএসসি বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন বেকার সংখ্যা বাড়ছে ঠিক সেভাবেই রাজ্যের একাধিক স্কুলে শিক্ষকের অভাবও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা যেন তারই নিদর্শন।

এই বিদ্যালয়ে ধীরে-ধীরে ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পেতে ৩০০ দাঁড়িয়েছে। যদিও, কর্তৃপক্ষের দাবি এই আগে ছাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫০ জন। যা ধীরে-ধীরে কমছে। শিক্ষক না থাকায় গ্রামেরই দশ জন যুবক এই বিদ্যালয় বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছে। বিগত দশ বছর ধরে তাঁরা বিনা পারিশ্রমিকেই পঠন পাঠন করাচ্ছেন। তাতে কিছুটা হলেও সমস্যা মিটছে বিদ্যালয়ের। তবে এই পরিস্থিতিতে কতদিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে এই বিদ্যালয়কে তা নিয়েই সংশয়ে সকলে।

এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘২০১২ সালে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন দু’জন পার্মানেন্ট স্টাফ ছিল। এরপর আর কেউ নেই। পরে গ্রামের দশ যুবক মিলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যায়।’ এক ছাত্রী বলেন, ‘আমাদের স্কুলে মূল সমস্যা হচ্ছে এখানে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা কম রয়েছে। যার কারণে পড়াশোনা কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের স্কুলে যদি আরও শিক্ষক নিয়োগ করা যায় তাহলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হত।’

 

Next Article