বোলপুর: বিয়ের সময় নগদ টাকার পাশাপাশি ৬ ভরি সোনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, নগদ টাকা আর তিন ভরি সোনা দিলেও আর্থিক টানাটানির কারণে বাকি সোনা দিতে পারেননি বাবা। আর সে কারণেই মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনটাই অভিযোগ বাবার। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর পুরসভার কাছারিপট্টি এলাকায়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তনুশ্রী ঘোষ নামে এক যুবতীকে। অভিযোগের তির তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা শুরু করেছে বোলপুর (Bolpur) থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, তনুশ্রী দেবীর বাপের বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার রুদ্রনগরে। বছর সাতেক আগে বোলপুরের কাছারিপট্টির বাসিন্দা অজিত ঘোষের ছেলে বাপন ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তনুশ্রীর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে প্রায়শই অশান্তি হতো মেয়ের বাড়িতে। পণের জন্য সবসময়ই চাপ দেওয়া হত। এমমকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। মারধরও করা হত।
ঘটনায় তনুশ্রী ঘোষের বাবা রাজকুমার ঘোষের বাবা বলছেন, “পণের জন্য বিয়ের পর থেকে ওরা খুবই চাপ দিত। বছর সাতেক আগে ঠিক হয় আমাদের ২ লক্ষ টাকা নগদ ও ৬ ভরি সোনা দিয়ে হবে। কিন্তু, আমরা ৩ ভরি সোনা দিয়েছিলাম। বাকি সোনার জন্য ওরা মেয়েকে প্রায়ই হুমকি দিত। অত্যাচার করতো। এমনকী মেয়েকে খুন করে রেল লাইনের ধারে ফেলে আসারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বুধবার বিকালে বকেয়া সোনা সমেত মেয়েকে দিয়ে এসেছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকালেই তো ঘটে গেল এ ঘটনা। আমরা ওদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।”
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিহত বধূর শ্বশুর অজিত ঘোষ। তিনি বলছেন, “সকালে আমরা সবাই গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। পাড়ার লোকের মুখেই খবরটা পাই। জানতে পারি ঘরের দরজা বন্ধ করে গায়ে আগুন দিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।”