রামপুরহাট: শেষ লোকসভা থেকে বিধানসভা, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মামার বাড়ির গ্রাম কুসুম্বায় হালে বিশেষ পানি পায়নি তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন কুসুম্বা সংসদে। এদিকে ফল ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হল রামপুরহাটের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) ব্লক সভানেত্রী সুচিত্রা খামারুলকে। তাঁর জায়গায় নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিঙ্কি নায়েককে। এদিন পদ বদল উপলক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই নতুন সভানেত্রীর হাতে দলের অনুমোদনপত্র তুলে দেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভানেত্রী সাহারা খাতুন।
সাহারা খাতুন জানান, সুচিত্রা খামারুল ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারছিলেন না। দিনরাত খেটেও পিছিয়ে পড়ছিলেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। সে কারণেই পদে রদবদল। নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিঙ্কি দেবীকে। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির।
বীরভূম বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি রেশমি দে বলেন, “মাননীয়ার ভাইয়ের বউ বিজেপির কাছে গোহারা হেরে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষ ওদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এখন ওরা হারটা মেনে নিতে পারছেন না। এলাকায় সংগঠনের অবস্থা ভাল নয় সেটাও বুঝতে পারছেন। সে কারণেই নেতৃত্বে বদল আনা হল।” যদিও সাহারা খাতুনের দাবি, “আগের থেকে রেজাল্ট এখন অনেক ভাল হয়েছে। তবে আগে যিনি ছিলেন তাঁকে পরিবর্তন করার কথা আমরা অনেক দিন থেকে ভাবছিলাম। উনি সংগঠনকে খুব একটা সময় দিতে পারছিলেন না। তার ফলে সংগঠনের কর্মীরা পিছিয়ে পড়ছিলেন। উনি নিজেও পদ ছাড়তে চাইছিলেন। তাই এই বদল। পিঙ্কি নায়েক খুব ভাল নেত্রী।” নতুন দায়িত্ব পেয়ে খুশি পিঙ্কি নায়েকও। তিনি বলছেন, “আমাকে দল যে দায়িত্ব দিয়েছ তা আগামীতে ভাল করেই পালন করার চেষ্টা করব। এবার দেখা যাক।”