সিউড়ি: বারংবার খবরে প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী গোন্দলের খবর। ভোটের আগে হোক বা পরে জেলায়-জেলায় তা অব্যাহত। কিন্তু এরপরও কমেনি গোষ্ঠী কোন্দল। দলের উপর মহল থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা জানতে পারা গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কোথায় কী! এবার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সভায় গ্রুপবাজি বন্ধ করার নির্দেশ আইনএনটিটিইউসি-র সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্যের।
রবিবার বীরভূমের সিউড়ির ডিআরডিসি হলে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য। তিনি এই সভায় উপস্থিত হয়ে প্রথম থেকেই কর্মীদের মধ্যে গ্রুপবাজি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তাঁর কথা অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপে অমুক জিন্দাবাদ, তমুক-জিন্দাবাদ এই সব করে আলাদা-আলাদা গ্রুপ তৈরি করা যাবে না। এই ধরনের গ্রুপ বাজি বরদাস্ত করবে না সংগঠন। তৃণমূলের এই সংগঠন চলে অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই।
এখানেই শেষ নয়, তিনি এ দিন এই গ্রুপ বাজির প্রসঙ্গ টানতে গিয়ে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দোলা সেনের প্রসঙ্গ টানেন। বস্তুত, দলে থেকেও একাধিকবার বেসুরো হয়েছেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সদ্য মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ নিয়ে বলতে গিয়ে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলে বসেন, ‘সব শিক্ষিত বেকার হয়ে গেল।’ মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। শনিবার এক অনুষ্ঠানে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘১২ লাখ পরীক্ষা দিয়েছে মাধ্যমিক। পাশ করেছে কত? ৮৬ শতাংশ পাশ করেছে। সব শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়ে গেল। এরপর উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পলিটেকনিক… এত ছেলে তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন, কিন্তু তাঁরা ঘুরে বেরাচ্ছেন। শুধু গ্রাজুয়েট হয়ে বা শুধু এম.এ পাশ করে কোনও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না।’