সিউড়ি: ক্রমেই বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। প্রথমে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়। পরে চার জন, তারপর রাতে আরও দুজন। কিন্তু শেষ দু’জনের শরীর রীতিমতো ছিন্নভিন্ন, দেখে বোঝার উপায় নেই, কার শরীর। মৃতদেহ শনাক্ত করতে এবার ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খয়রাশোলের কয়লা খাদানে বিস্ফোরণের মৃতদের ময়নাতদন্ত সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে হলেও ডিএনএ টেস্টের জন্য মৃতদেহের দেহাংশ পাঠানো হবে দুর্গাপুরে। মূলত মৃতদের শনাক্ত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এমনই জানালেন সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অ্যাক্টিং সুপার সুব্রত গড়াই।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃতদেহ শনান্ত করা গেলেও ২ জনের মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে খবর৷ মৃতের পরিবারের দাবি, আরও ২ জন মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের থেকে জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র পা দেখে একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জন হবে।
বিশেষ সূত্রে খবর, যেহেতু এখনও মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি, তাই কেবল ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও, এখনই বাকি ১২ লক্ষ টাকা এবং সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর বাকি ক্ষতিপূরণ মিলবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
খয়রাশোলের লোকপুর থানার ভাদুলিয়া গ্রামে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ হয়। এই খনিতে একটি লরিতে প্রচুর বিস্ফোরক-বারুদ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেই লরি থেকেই বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় ৬ জনের। সূত্রের খবর, শুরুতেই ২ জনের মৃত্যুর খবর আসে। পরবর্তীতে আরও ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। রাতে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। এই বিস্ফোরণে NIA তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।