লাভপুর: সোনা পাচারকারী সন্দেহে এক কিশোরকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মেরে হাত ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ। যদিও, কিশোরের পরিবার বলছে অন্য কথা। সোনা পাচারের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর থানার অন্তর্গত চৌহাট্টা গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত পরশু (১৮ নভেম্বর) দুপুর নাগাদ বছর পনেরোর টুটুল বাগদী টোটো নিয়ে যাচ্ছিল আহমেদপুর থেকে লাভপুরের দিকে। পুলিশ সেই সময় পাকড়াও করে। ঘটনাস্থল থেকেই প্যাসেঞ্জার সহ টোটোকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে টুটুল বাগদীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও সেই দিনই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। মেরে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের মারধরের কারণে গুরুতর আহত অবস্থায় টুটুলকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা টোটো চালিয়ে জীবিকা উপার্জন করে। যাত্রী যদি দোষ করে তাহলে তাঁদের কী করার আছে? এও প্রশ্ন, যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাহলে কেন শুধু টোটো চালককে মারধর করা হয়? যদিও, লাভপুর থানা পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁরা টোটোতে প্যাসেঞ্জার হিসেবে ছিল তাঁরা নকল সোনার কয়েনের কারবারি। আর সেই ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে এই টোটো চালক কিশোর। তাই তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছিল।
আহত কিশোর বলে, “আমি প্যাসেঞ্জার নিয়ে যাচ্ছিলাম। দুজন প্যাসেঞ্জার ওঠে। তারপর বড়বাবু হঠাৎ বলল থানায় চল। তারপর অন্য এক পুলিশ অফিসার বলল একে মারধর করো। আমায় পেটে-হাতে মেরেছে।”