বোলপুর : ফের একবার সিবিআই ক্যাম্পে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে। বৃহস্পতিবার প্রথমে তাঁকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তলব করা হয়ে তাঁক হিসাব রক্ষককেও। পরে তাঁর হিসাব রক্ষকেরা গেলে তাঁদের থেকে মলয় পিটের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। গরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতর লেনদেনের ওপর নজর রেখেছে সিবিআই। সেই সূত্রেই এই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিবিআই সূত্রের খবর, মলয় পিটকে এ দিন অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বারবার একই কথা বলেন, ‘আমার অ্যাকাউন্ট্যান্ট সব জানেন।’ এরপরই সিবিআই আধিকারিকরা বলেন, দুপুর তিনটের মধ্যে হিসাব রক্ষককে পাঠিয়ে দিতে হবে। পরে দুই হিসাব রক্ষক যান সেই ক্যাম্পে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে মলয় পিট জানান মূলত লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে এ দিন প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁকে। যতটা পেরেছেন উত্তর দিয়েছেন। তাঁর দাবি, পরবর্তীতে শান্তিনিকেতনে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনও অসুবিধা নেই তাঁর। কিন্তু, কলকাতায় ডেকে পাঠানো হলে তাঁর কাজের অসুবিধা হতে পারে। বুধবারই বোলপুরে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
বীরভূমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মলয় পিটের নামে। শান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজও তৈরি করেছেন বছর কয়েক আগে। দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান তিনি। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পিছনে অনুব্রত মণ্ডলের ‘অবদানে’ রয়েছে। সূত্রের খবর, ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্য করেছেন বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, বোলপুরে সুকন্যা মণ্ডলের নামে থাকা ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যরাজে একাধিক গাড়ি দেখা গিয়েছিল। সেখানে সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা একটি গাড়ি ও স্বাধীন ট্রাস্টের নামে থাকা আর একটি গাড়ি দেখতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। TV9 বাংলার সামনে মলয় স্বীকার করেছিলেন, ওই দুটি গাড়ি তিনিই দিয়েছিলেন অনুব্রতকে।