Murder Case: কেটে গেল হাতের কয়েকটি আঙুল, তবুও স্ত্রীকে কুপিয়ে গেলেন স্বামী!

সিউড়ি: স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত শেলাহাট গ্রামে। রবিবার সকালে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার পর বিষ খেয়ে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। ছেলে, বউমা, নাতিরা দেখে স্বামী, স্ত্রী ২ জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্য দিকে স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত স্বামী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শেলহাট গ্রামে। যদিও কেন স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে এখনও কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

শেলাহাট গ্রামের বাসিন্দা অজিত ভল্লা। তাঁর স্ত্রীর নাম ছবি ভল্লা (৫৫)। ছেলে, বউমা, নাতি-নাতনি নিয়ে সংসাদ ছিল তাঁদের। রবিবার সকালে অজিত তাঁর স্ত্রী ছবিকে কুপিয়ে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। এর পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হলেও আশঙ্কা জনক অবস্থায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি স্বামী অজিত ভল্লা।

জানা গিয়েছে, অজিত যে ভাবে তাঁর স্ত্রী ছবিকে কুপিয়েছেন, তাতে ছবি ভল্লার প্রথমে এক হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। তার পরও ছবিতে কুপিয়ে যান অজিত। পরে ছবিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে সংশয় রয়েছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই। মৃতে ছেলে বলেছেন বাবা কেন এ রকম করল বুঝতে পারছি না। অন্য দিকে অজিতের বউমা শীলা ভল্লা কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, “আমার শাশুড়ি শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি আমাদের সাথেই থাকতেন। খেতেন। কিন্তু শ্বশুর শাশুড়িকে বার বার আদালা থাকার কথা বলতেন। কিন্তু শাশুড়ি অসুস্থ থাকায় বলতেন তিনি রান্না করতে পারবেন না। আজ সকাল শ্বশুর এল। তার পরই ছেলেরা বলছে, দেখ মা কী হয়েছে।“