বীরভূম: জেলায় নেই তিনি। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর বন্দিদশা কাটছে দিল্লির তিহাড় জেলে। শোনা যাচ্ছে না চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ। বিরোধীদের গুড়-বাতাসা দিয়ে আর দেওয়া হচ্ছে না দাওয়াই। তাঁকে ছাড়া ভোট হবে কী করে? কেষ্টহীন এই প্রশ্নেই উদ্বেগ বাড়ছিল তৃণমূল কর্মীদের। যদিও ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) রণদামামা। নেতাকে স্মরণ করেই ভোটের ময়দানে নেমেছিল দলীয় নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। ভোটের এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি। যদিও তার আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বীরভূমে বহু আসনে জিতে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের আবহে এবার সেই অনুব্রত মণ্ডলকে স্মরণ করতে দেখা গেল বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Shatabdi Ray)।
এদিন অনুব্রতর প্রশংসায় ফের একবার পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল শতাব্দীকে। স্পষ্ট বললেন, “যে মানুষটা এতদিন ধরে তৃণমূলের হয়ে কাজ করে এসেছেন তাঁর উপরে কৃতজ্ঞতা রাখাটা উচিত। আমি মনে করি আমি কৃতজ্ঞতাটা রাখতে জানি। তিনি এখন আইনের কারণে বাইরে আছেন। আগামীদিনে তিনি আবারও দলের জন্যে কাজ করবেন।”
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে গোটা রাজ্যে মেগা প্রচার চালাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। মাঠে নেমেছেন ৫৮ নেতা। ছুটছেন জেলায় জেলায়। এদিন বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর অঞ্চলের কোমা এলাকা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করতে দেখা যায় শতাব্দীকে। সেখানে একটি জনসভাও করেন। শতাব্দীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক-সহ দলের তরফে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীরা। এদিনের সভা থেকেই বিরোধীরে উদ্দেশে সুর চড়িয়ে শতাব্দী বলেন, “আমরা অন্যান্য দলের মতো হাতে ব্যানার নিয়ে শুধু ভোট চাইছি না। আমরা কাজ করেছি। তারপরই ভোট চাইছি। আমাদের ভালবাসা ফিরিয়ে জিন ভোটের বাক্সে। যত ভালবাসা দেবেন তত আমাদের কাজ আরও এগিয়ে যাবে।”