Visva Bharati: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির দুয়ারে নোম চমস্কি, সই দেশ-বিদেশের আরও ২৬০ শিক্ষাবিদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 12, 2023 | 3:56 PM

Visva Bharati news: ২৬১ জনের পিটিশনের তালিকায় নাম রয়েছে বিশিষ্ট মার্কিন ভাষা বিজ্ঞানী নোম চমস্কিরও।

Visva Bharati: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির দুয়ারে নোম চমস্কি, সই দেশ-বিদেশের আরও ২৬০ শিক্ষাবিদের
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির দুয়ারে নম চমস্কি সহ ২৬১ শিক্ষাবিদ

Follow Us

বোলপুর: যত কাণ্ড বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati University)। এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) কাছে চিঠি পাঠানো হল। সেই চিঠিতে ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ২৬১ জন শিক্ষাবিদের সই রয়েছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেই ২৬১ জনের পিটিশনের তালিকায় নাম রয়েছে বিশিষ্ট মার্কিন ভাষা বিজ্ঞানী নোম চমস্কিরও (Noam Chomsky)। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো পিটিশনে ভাষাবিদ নোম চমস্কির সই বিশ্বভারতীর অসন্তোষে আন্তর্জাতিক মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।

কী কারণে রাষ্ট্রপতির কাছে এই চিঠি? এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিগত প্রায় চার বছর ধরে বিভিন্ন কারণে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়। বার বার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে। পড়ুয়াদে সাসপেন্ডের অভিযোগও উঠেছে। এমনকী অধ্যাপকরা সরব হলে, তাঁদেরও সাসপেন্ড করার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়েই বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। এই সামগ্রিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। বিষয়টি বিশ্বভারতীর জন্য তথা বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য যথেষ্ট মর্যাদাহানিকর বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।

বিষয়টি নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকারের সঙ্গে। তিনি জানাচ্ছেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ দশকের পর দশক ধরে জড়িয়ে রয়েছেন। যাঁরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা বর্তমান উপাচার্যের আমলে আদৌ সন্তুষ্ট কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দেবাশিসবাবু। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “নিশ্চিতভাবে ভারসাম্যের সঙ্কট থাকছে। ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেক স্টেক হোল্ডারের ক্ষেত্রে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তা কখনোই কাঙ্খিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি থেকে আগামী দিনে বেরিয়ে আসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”

Next Article