বোলপুর: করোনাকালে প্রথমবার বন্ধ হয়েছিল। পরবর্তীতে আবার তদানন্তীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সদিচ্ছা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। উপাচার্য থাকাকালীন পরপর তিন বছর বিশ্বভারতীর তরফে এই মেলা নিয়ে আগ্রহের অভাব ছিল, এই অভিযোগ এসেছে নানা মহল থেকে। এখন শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ জমানা। কিন্তু, মেলা কি হবে? সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। দফায় দফায় হয়েছে বৈঠক। তারপরও কাটছিল না অনিশ্চিয়তার মেঘ। কেউ কেউ বলছিলেন মেলা হলেও তা হতে পারে ছোট করে। কয়েকদিন আগে তো আবার শোনা গিয়েছিল এবার আর হচ্ছে না মেলা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবটা গুছিয়ে ফেলা সম্ভব হয়নি বলে মেলা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত এল সুখবরটা। হচ্ছে পৌষ মেলা।
এবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যমণ্ডিত পৌষ মেলা করবে জেলা প্রশাসন। সাফ জানিয়ে দিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। শুক্রবার এ নিয়ে শান্তিনিকেতনে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসনই। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, সভাধিপতি কাজল শেখ, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকরা। এছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চকে।
বৈঠক শেষে জেলাশাসক বিধান রায় জানান, পৌষ মেলার জন্য মাঠ রয়েছে সেই মাঠ চেয়ে আবেদন করা হবে বিশ্বভারতীর কাছে। যদি বিশ্বভারতী সেই মাঠ না দেয় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। পৌষ মেলার আয়োজন করা হবে বোলপুর শহরের ডাক বাংলো মাঠে।