মুরারই: স্কুলে ঢুকেই ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর শুরু করেছিলেন শিক্ষক। রণংদেহী মেজাজে থাকা ওই শিক্ষককে দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পড়ুয়ার দল। তবুও থামেনি শিক্ষকের মার। মারের চোটে অনেক পড়ুয়া অসুস্থও হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। মারধরও করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। অবশেষে চিত্তরঞ্জন মণ্ডল নামে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের (Birbhum) মুরারইয়ের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলেরই দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়াকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিত্তরঞ্জনের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। প্রশ্ন উঠেছিল বীরভূমের মুরারই ভাদীশ্বর সি বি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিকাঠামো নিয়ে। ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুলে এসে শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান অনেকেই। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মারমুখী জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্ত শিক্ষক। অভিভাবকদের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে ঢুকেছিলেন ওই শিক্ষক। তারপরই করেছেন এই কাণ্ড।
ঘটনার পরই স্কুলেরই এ পড়ুয়ার অভিভাবক দেবনাথ বীরবংশী মুরারাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন ধৃতকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ঘটনার কথা মনে করলে এখনও ভয়ে শিউরে উঠছে খুদেরা। আতঙ্কের মধ্যেই এক পড়ুয়ার মুখে শোনা গেল, আমরা চুপচাপ বসেছিলাম। আচমকা স্যার এসে আমাদের মারতে শুরু করল। কী হল, কেন মারলেন আমরা কিছুই বুঝতে পারলাম না। অভিভাবক দেবনাথ বীরবংশী আবার করছেন বিস্ফোরক অভিযোগ, বলছেন, “স্যার তো স্কুলে মদ খেয়ে ঢুকেছিলেন বলে জানতে পেরেছি আমরা জানতে পেরেছি। ৫০-৬০ জনকে মেরেছেন। এত মেরেছেন যে পিঠে দাগ পড়ে গিয়েছে।”