Cow Smuggling Case: সুখবাজার গরুহাটের ৫০ মিটারের মধ্যেই লতিফের প্রাসাদোপম বাড়ি, পাচারের টাকাতেই কি ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল সম্পত্তি?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Aug 16, 2022 | 12:27 AM

Cow Smuggling Case: সিবিআই সূত্রে খবর, ইলামবাজারের এই পশুহাট থেকেই এনামূলের লোকজন গরু কিনত। আর এনামূল হকের পাচার চক্রের জন্য এই হাট থেকে গরু কেনার দায়িত্বে ছিল আব্দুল লতিফ।

Cow Smuggling Case: সুখবাজার গরুহাটের ৫০ মিটারের মধ্যেই লতিফের প্রাসাদোপম বাড়ি, পাচারের টাকাতেই কি ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল সম্পত্তি?
হাটের অদূরেই প্রাসাদোপম বাড়ি

Follow Us

ইলামবাজার : গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই। সাইগল হোসেনের বয়ান ধরে ধরে গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই-এর চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, সাইগলের বয়ান অনুযায়ী গরুপাচার চক্রের অন্যতম পান্ডা এনামূল হকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল সাইগলের। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, সাইগল হোসেন অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি এনামূল হক এবং আব্দুল লতিফের থেকে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে টাকা তুলত। চার্জশিটে উঠে এসেছে স্থানীয় পশুহাটের কথাও। সেই সূত্র ধরে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বীরভূমের ইলামবাজারে পৌঁছে গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা।

ইলামবাজারে বোলপুর রোডের পাশেই রয়েছে বিশাল বড় এক মাঠ। সুখবাজারের মাঠ। এখানেই বসে ভারতের অন্যতম বড় পশুর হাট। হাট বসে প্রতি শনিবারে। সিবিআই সূত্রে খবর, ইলামবাজারের এই পশুহাট থেকেই এনামূলের লোকজন গরু কিনত। আর এনামূল হকের পাচার চক্রের জন্য এই হাট থেকে গরু কেনার দায়িত্বে ছিল আব্দুল লতিফ। সেই মাঠের চেনা ছন্দ এখন অবশ্য অনেকটাই ম্লান। সিবিআই তদন্তে নামার পর থেকেই কিছুটা মন্দা নেমেছে গরুর হাটে।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আব্দুল লতিফ এক সময় ছিল এনামূলের কর্মী। পরবর্তী সময়ে সে এনামূলের একাধিক কোম্পানির পার্টনার হয়। যখন পাচারের রমরমা ছিল, তখন এই গরুর হাটের সবটাই নাকি নিয়ন্ত্রণ করত এই আব্দুল লতিফ। গরুর হাট থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরেই লতিফের প্রাসাদোপম বাড়ি। সেই বাড়ি এখন তালা বন্ধ। বাড়ির প্রাঙ্গনে রাখা আছে লতিফের দু’টো দামি গাড়িও। আশপাশের লোকজনকে প্রশ্ন করা হলেও এলাকার কেউ এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

শুধু এই প্রাসাদোপম বাড়িই নয়, লতিফের রয়েছে মার্বেলস-এর কারবারও। বোলপুরের সবথেকে বড় মার্বেল ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন এই আব্দুল লতিফ। স্থানীয়দের কাছ থেকেই জানা গেল মার্বেল কোম্পানির নাম। নাজ় মার্বেল। সিবিআই-এর চার্জশিটেও উল্লেখ রয়েছে এই নাজ় মার্বেলের। সিবিআই সূত্রে খবর, এই নাজ় মার্বেল কোম্পানির মালিক এনামূল হক। পরবর্তী সময়ে লতিফ সেই কোম্পানির পার্টনার হয়। শেষের দিকে লতিফই এই নাজ় মার্বেল চালাত বলে জানা গিয়েছে।

ইলামবাজার বোলপুর রোডের ধারেই রাস্তার উপর নাজ় মার্বেলস-এর বিশাল অফিস এবং গোডাউন। সেখানেও খোঁজখবর নিতে গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা। কিন্তু সেখানেও দেখা মিলল না আব্দুল লতিফের। সিবিআই গোয়েন্দাদের সন্দেহ, লতিফের এই সম্পত্তি গরু পাচার থেকে পাওয়ার টাকার একটা অংশ মাত্র। এদিকে সাইগল হোসেনেরও বিশাল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। সেখান থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে কাজ করে সাইগলের যদি এত বড় সম্পত্তি হয়, তাহলে সেই টাকা কি অনুব্রত মণ্ডল পর্যন্তও যেত? সেক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল কত টাকা পেয়েছেন? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুজছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

Next Article