শান্তিনিকেতন : এবার উপাচার্যকে বিদ্যুত চক্রবর্তীকে সরানোর দাবি উঠল বিশ্বভারতীতে। উপাচার্যকে সরানোর দাবিতে মিছিল করল বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও মঞ্চ। উঠল, উপাচার্য হটাও স্লোগান। বিশ্বভারতী চত্বরে ওই মিছিলে পা মেলান ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অধ্যাপক এবং অন্যান্যরাও। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় বার বার উতপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তপ্ত হয়েছে বাতাবরণ। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির উঠেছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অধ্যাপককে শোকজ করারও ঘটনা ঘটেছে বিশ্বভারতীতে। অভিযোগ, উপাচার্যের বিরুদ্ধাচারণ করে কথা বলার কারণেই কোপ পড়েছে তাঁদের উপর।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বললেই শোকজ, সাসপেন্ড করার ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। আর সেই কারণেই আজ উপাচার্য হটাও স্লোগান তুলে আজ বিশ্বভারতীতে পদযাত্রা করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত ঘোষ ও আন্দোলনকারী ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, “আমাদের পরাধীন করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীর পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। সেই কারণেই আমরা উপাচার্যকে সরানোর দাবি করছি। আর আগামীতেও আমাদের এই আন্দোলন চলবে।”
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওড়িয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শরৎকুমার জেনা, সঙ্গীত ভবনের মণিপুরী বিভাগের অধ্যাপক শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বিধান বাগকে শোকজ করা হয়েছিল। তার আগে আরও কয়েকজন অধ্যাপককে শোকজ করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে একের পর এক ঘটনায় বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারী পড়ুয়া সোমনাথ সৌ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীতে যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য, মেলা, বসন্ত উৎসব ধ্বংস থেকে শুরু করে ছাত্র-অধ্যাপক-কর্মীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা হয়েছে। পর পর অধ্যাপকদের শোকজ করা হয়েছে। এখানে একটি হিটলারি রাজত্ব শুরু করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই উপাচার্যকে হটানোর জন্য আমরা সবরকম প্রচেষ্টা করব।”