বীরভূম: গরুপাচার মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে সায়গল হোসেনকে। আসানসোল আদালতে তোলা হবে সায়গলকে। গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি হন অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী।
সূত্রের খবর, এর আগে একই মামলায় সায়গালকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। তবে আদালত তা নাকচ করে দেয়। গরুপাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। বুধবার এই মামলার যিনি আয়ো তিনি গতকাল থেকেই বোলপুরের সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে ছিলেন। আজ সকালেই তাঁরা রওনা দেন আসানসোলের উদ্দেশে। কারণ আজ সায়গলকে কোর্টে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ অগস্ট এই মামলার তদন্তের জন্য সায়গল হোসেনের বোলপুর বাইপাস সংলগ্ন আবাসন শাওন সুধায় ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এই আবাসনে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে সায়গলের। সিবিআই সূত্রে খবর, সে সময় এই ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার হয়। তা থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পান। পরবর্তীতে সোমবার ফের অভিযান। যা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে বরাবরই ছিলেন সায়গল হোসেন। অনুব্রতর হয়ে অন্যতম ‘মিডিয়েটর’ হিসাবে কাজ করতেন সায়গল এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের। গরু পাচার মামলায় যাঁর নাম ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। সেই চার্জশিটে সিবিআই উল্লেখও করেছে, সায়গল-অনুব্রত যোগ কতটা জোরাল। এমনও সিবিআই তাদের তদন্ত জানতে পেরেছে বলে সূত্রের দাবি, গরু পাচার মামলায় যে টাকা আসত তা সায়গল হোসেনের হাত ঘুরে অনুব্রত মণ্ডল অবধি পৌঁছত। যদিও এসবই প্রমাণসাপেক্ষ। তবে এই সমস্ত তথ্যকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে সিবিআই। এ,দিন আদালতেও সেই একই বিষয়কে সামনে রেখে এগোতে চাইছেন গোয়েন্দারা।