সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ।
সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ মৃত লালন শেখের পরিবারের। বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আর্জি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে।
লালন শেখের মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। মৃতের পরিবারের দাবি, লালনের জিভ কাটা ছিল। এমনকীপায়ে রক্ত জমাট বাধা ছিল বলেও অভিযোগ।
লালনের স্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন, সব সেটল করে দেওয়ার জন্য তাঁর থেকে ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে সিবিআই।
এদিকে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের বাইরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা। স্লোগানিং হতে থাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সিবিআই কনভয়কে ক্যাম্প অফিস থেকে বের করেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বললেন, 'আমি এই ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি। সিবিআই এত স্মার্ট, কীভাবে হেফাজতে থাকাকালীন একজনের মৃত্যু হল?'
ইতিমধ্যেই লালন শেখের দেহে ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। কিন্তু তাঁর দেহ এখনও পর্যন্ত কেউ নিতে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে।