Visva-Bharati University : উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিশ্বভারতী, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 07, 2022 | 9:04 PM

Visva-Bharati University : গত ১৩ দিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে তাঁরই পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন বিশ্বভারতীর একাংশের পড়ুয়ারা। সেই মঞ্চ থেকে এদিন মশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়।

Visva-Bharati University : উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিশ্বভারতী, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

Follow Us

বোলপুর : মশাল মিছিলকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)। কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি ছিল, আন্দোলন চলাকালীন সময় নিরাপত্তীরক্ষীদের বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের উদ্দেশে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন উপচার্য। এ খবর চাউর হতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বিশ্বভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে। এরপরই উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জোরালো আওয়াজ ওঠে পড়ুয়াদের তরফে। এরইমধ্যে বুধবার পড়ুয়াদের তরফে বিশ্বভারতীতে একটি মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।

এই মিছিল থেকে বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষ মেলার দাবি সহ ফের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি ওঠে। শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ থেকে উপাচার্যের বাড়ি পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। উপচার্যের বাড়ির সামনে পড়ুয়াদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আবেদন মোতাবেক আগে থেকেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাড়ির সামনে উপস্থিত ছিল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ওই সময় আন্দোলনকারীরা বাড়ির গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের তরফ থেকে বাধা দেওয়া হয়। তখনই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। বেশ কিছুক্ষণ চলে ধস্তাধস্তি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ দিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে তাঁরই পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন বিশ্বভারতীর একাংশের পড়ুয়ারা। সেই আন্দোলন মঞ্চ থেকে এদিন ফের একটি মশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। অন্যদিকে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলার জন্য মাঠ দিতে রাজি নয়। ইতিমধ্যেই ওই মাঠে মেলা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। যা নিয়ে চলছে চাপানউতর। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে কিনা তার পুরো ভারই চলে যায় বিশ্বভারতীর কাঁধে।

Next Article