কলকাতা : একই ব্যাঙ্কে বেনামে ১৭৭ টা অ্যাকাউন্ট, কোটি কোটি টাকার লেনদেন, খাদ্য দফতরর সঙ্গে যোগ, আর সব অ্যাকাউন্টে একটাই সই। কীভাবে এমন সব অ্যাকাউন্ট (Bank Account) চলল দিনের পর দিন? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে গেল? নাকি দেখেও না দেখার ভান করলেন কেউ? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তৎপর সিবিআই। বৃহস্পতিবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে কার্যত চোখ কপালে গোয়েন্দাদের। সবকটি অ্যাকাউন্টই বেনামে খোলা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। আর যাঁদের নামে রয়েছে সে সব অ্যাকাউন্ট, তাঁরা নাকি নিজেরাই জানেন না! সেই সব অ্যাকাউন্টের তথ্য তালাশ করতে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে। শুক্রবার সকালেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্ত নথি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই দফতরে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই ওই সমবায় ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই। সারাদিন তল্লাশি চালানোর পর ১৭৭ টি অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টে একজনের সই আছে দেখেই সন্দেহ বাড়ে। পরে দেখা যায়, অন্তত ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে। লেনদেনের সঙ্গে খাদ্য দফতরের যোগ আছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। গরু পাচারের কালো টাকা এর মাধ্যমে সাদা করা হত কি না, এই টাকার সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন কিছু তথ্য বা নথি তাদের হাতে এসেছে, যাতে সন্দেহ হওয়াই স্বাভাবিক। বর্তমান ম্যানেজার ও প্রাক্তন ম্যানেজারের আমলে খোলা হয়েছে সে সব অ্যাকাউন্ট। এসব দেখেও কেন তাঁদের সন্দেহ হল না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দারা। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না কেন, কারও নির্দেশ ছিল কি না, টাকার উৎস কী? এ সব প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হবে ম্যানেজারের কাছে।
অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ স্ক্রুটিনি টিম তৈরি করা হচ্ছে। হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্টদের দিয়ে সইগুলি পরীক্ষা করা হবে। কাদের সঙ্গে লেনদেন চলত, তা খুঁজে বের করবে সিবিআই।