বোলপুর : আন্দোলন যেন থামছেই না বিশ্বভারতীতে। বুধবার ফের বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) উপাসনা গৃহ থেকে বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল অফিসের মূল গেট বলাকা পর্যন্ত মিছিল করল বিশ্বভারতীর একাংশ ছাত্রছাত্রীরা। সম্প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে সাতজন ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে এদিনের মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। যদিও আন্দোলকারীদের সেন্ট্রাল অফিসের ভিতরে ঢুকতে দেননিন নিরাপত্তা রক্ষীরা।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থার প্রতিবাদ থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার দাবি, গত বছরের শেষভাগে দফায় দফায় ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। লাগাতার উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাড়ির সামনে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। এর আগে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর ‘অপরাধে’ সাতজন ছাত্রকে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই সাসপেনশনের প্রত্য়াহারের দাবিতে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর বলাকা গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন পড়ুয়ারা। এই মঞ্চ থেকেই এদিন বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ থেকে বলাকা গেট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি অবিলম্বে ছাত্রদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গোটা ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অকারণে খাঁড়া নামছে পড়ুয়াদের উপর। অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে সাসপেনশনের নির্দেশিকা। অন্যথায় আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতীর ছাত্র নেতা সোমনাথ সৌ বলেন, “আমাদের ৭ ছাত্রকে হঠাৎ করেই সাসপেন্ড করা হয়। এই সমস্ত যে ঘটনা বিশ্বভারতীতে লাগাতার ঘটছে এর কোথাও একটা শেষ হওয়ার দরকার রয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে একটা অগণতান্ত্রিক বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। এই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে আজকের প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই সাসপেনশন প্রত্যাহার না হলে এবার এখানে জঙ্গি আন্দোলন হবে। এছাড়াও আমাদেরও আরও অনেক দাবি রয়েছে সেগুলির বিষয়েও আলোচনা চাইছি। তবে উপাচার্যের সঙ্গে আমরা আগেও বহুবার দেখা করার চেষ্টা করেছি। চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু কোনও প্রত্যুত্তর পাইনি।”