‘৩৪ বছর শাসন করেও ওরা কখনও ঠকায়নি’, ‘বামে’ প্রশস্তি কেষ্টর!
Anubrata Mondal: তৃণমূল নেতার মুখে বাম শিবিরের এমন 'প্রশস্তি' যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বীরভূম: একদা যাঁরা পরম শত্রু, তাঁরাই কি আজ ‘কেষ্ট-প্রিয়’? তৃণমূলের দলীয় সম্মেলনে, চৌত্রিশ বছরের বাম সরকারের প্রশস্তিই শোনা গেল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তৃণমূলের যোগদান সম্মেলনে উপস্থিত থেকে দলের কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন অনুব্রত।
এই সম্মলনে, সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি অঞ্চল থেকে প্রায় কয়েকশো নেতা-কর্মী অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। যোগদান পর্বের সেই অনুষ্ঠানে অনুব্রত বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “৩৪ বছর ধরে একটা দলকে দেখেছি। বামেদের শাসন দেখেছি। ওরা এত মিথ্যা কথা বলত না। মানুষকে ঠকাতো না। কিন্তু, আমাদের এখনকার বিরোধী দল যেভাবে মানুষকে ঠকায়, প্রতারণা করে তা নিয়ে সত্যিই আর কিছু বলার নেই। যাঁরা এই দল ছেড়ে ওই দলে গিয়েছেন তাঁরা ভাল করেছেন। সত্যি বলতে কি, আমাদের দল এখন ভাল রয়েছে।” এরপর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূল নেতা (Anubrata Mondal) বলেন, “মনে রাখবেন, আমিও কর্মী আপনারাও কর্মী। এই দলে একজনই নেত্রী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কেউ দলের প্রধান নয়। আমি নিজেও কোনও বিধায়ক, সাংসদ বা নেতা নই। আমি কর্মী।”
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পেগাসাস বিতর্কে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২১জুলাইয়ের মঞ্চে ফোনে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’-এ সামিল হয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই একই পথে হাঁটা দিয়েছিলেন দিদির স্নেহের কেষ্ট! তাঁর ফোনেও দেখা গিয়েছিল লাগানো রয়েছে লিউকোপ্লাস্ট। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ধীরে ধীরে অ-বিজেপি শক্তিগুলি একজোট হওয়ার পরিকল্পনায় সামিল হয়েছে। এই সময়ে, তৃণমূল নেতার মুখে বাম শিবিরের এমন ‘প্রশস্তি’ যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের পেগাসাস, রাজ্যসরকারের পুলিশ, নজরদারি জারি আছেই’, তোপ সূর্যকান্তের