বীরভূম: বাংলার রাজনীতিতে যে কয়েকজন ভাল মানুষ আছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee) তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সিউড়ি-২ ব্লকে তৃণমূলের প্রতিনিধি সম্মেলনে এসে এমন কথাই শোনা গেল বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের মুখে। অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এদিন শতাব্দী রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মানুষ হিসাবেও আমি বুদ্ধবাবুকে চিনি। আমার বিয়েতেও উনি এসেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। ওঁর সুস্থতা কামনা করি। আগেও উনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, লড়াই করে ফিরে এসেছেন। এবারও উনি ফিরে আসবেন। আসলে রাজনীতিতে কিছু ভাল মানুষ যদি থাকেন, তাহলে উনি একজন।”
শনিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমে ৯ সদস্যর মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল। তবে রবিবার বিকেলে হাসপাতালের তরফে বুলেটিন দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেডিক্যাল বোর্ডে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হল। মেডিক্যাল বোর্ডে ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন প্রথম থেকে। এদিন থেকে তা বেড়ে ১১ হল। নতুন দুই সদস্য হলেন সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও এন্ডোক্রিনোলজির চিকিৎসক সেমন্তী চক্রবর্তী।
ভেন্টিলেশনে রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সকাল, সন্ধ্যা সিপিএমের নেতারা হাসপাতালে যাচ্ছেন তাঁকে দেখতে। বিমান বসু, রবীন দেব, সূর্যকান্ত মিশ্ররা যেমন গিয়েছেন। বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে গিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারাও। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, কংগ্রেসের সৌম্য আইচ থেকে বিজেপির শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার গিয়েছেন হাসপাতালে। বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সোমবার বিকালে বুদ্ধবাবুকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলেরই প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুন বুদ্ধবাবু। হাসপাতালের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, স্থিতিশীল বুদ্ধবাবু, তবে এখনও বিপদ কাটেনি। আচ্ছন্নভাব কিছুটা কেটেছে। মাঝেমধ্যে চোখ খুলেছেন। রাইলস টিউবে তরল খাবার দেওয়া হয়েছে এদিন। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমানো হবে।