Birbhum: বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরল বোলপুরে! ঘুমন্ত অবস্থায় জীবন্ত পুড়িয়ে খুন মা-ছেলেকে
Birbhum: বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খাওয়ার পর জানলার ধারে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন শেখ তোতা (৩৮)। পাশেই শুয়ে ছিলেন স্ত্রী রূপা বিবি (৩০) ও সন্তান আয়ান শেখ (৪)। অভিযোগ, গরমের রাত। জানলা খোলা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ বা কারা কাপড়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
বীরভূম: বীরভূমে আবারও ফিরল বগটুইয়ের স্মৃতি। ঘুমের মধ্যে আবারও পুড়িয়ে মারার অভিযোগ। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল মা ও ছেলের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাবা। বর্ধমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি। বোলপুর থানার রজতপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে গ্রামে যান বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি জানান, এই পরিবারটি তাঁদের কাছের আত্মীয়। কী কারণে খুন করা হয়েছে তা তদন্ত হবে উচ্চপর্যায়ে। দোষীরা জেলে যাবেই। তবে কাজল এই ঘটনাকে বগটুইয়ের সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ।
বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খাওয়ার পর জানলার ধারে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন শেখ তোতা (৩৮)। পাশেই শুয়ে ছিলেন স্ত্রী রূপা বিবি (৩০) ও সন্তান আয়ান শেখ (৪)। অভিযোগ, গরমের রাত। জানলা খোলা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ বা কারা কাপড়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
চিৎকারে চেঁচামেচিতে উঠে আসে পাশের ঘরে শুয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরাও। চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন গ্রামের লোকজন। ততক্ষণে তিনজনই আগুনে ঝলসে গিয়েছেন বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তিনজনকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে ছোটো ছেলে আয়ানের মৃত্যু হয়। এরপরই মৃত্যু হয় রূপার। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “শুনলাম তোতার ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে। সব বর্ধমান নিয়ে গিয়েছে। পরে শুনলাম ২ জন মারা গিয়েছে। এ তো রামপুরহাটের বগটুইয়ের মতো। তার থেকেও কঠিন বলা যায়। এরকম বদ্ধ ঘরে মাঝরাতে আগুন ধরানো। পরিবারটাই শেষ করে দিল।”