Panchayat Elections 2023: ভোট না দিলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নয়, ‘প্রতিশ্রুতি’ বিদায়ী তৃণমূল প্রধানের

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 01, 2023 | 4:15 PM

Panchayat Elections 2023: পথ সভার শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় মলয়কে। তারপরই দেন হুঁশিয়ারি। যা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে।

Panchayat Elections 2023: ভোট না দিলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নয়, ‘প্রতিশ্রুতি’ বিদায়ী তৃণমূল প্রধানের
বিদায়ী প্রধান মলয় রায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

বীরভূম: জোড়াফুল ভাল লাগলে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। হুঁশিয়ারি বিদায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। যা নিয়েই জোর শোরগোল বীরভূমের (Birbhum)। শুক্রবার বীরভূমের চন্দ্রপুর থানা এলাকার তাঁতিপাড়া গ্রামে পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে একটি পথসভার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের (Trinamool Congress) তরফে। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তাতিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান মলয় রায়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। 

পথ সভার শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় মলয়কে। তারপরই রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “যাঁরা জোড়াফুলের বিরাগভাজন হবেন, যাঁরা আমাদের অপছন্দ করবেন তাঁরা কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে এটা বলে গেলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সুযোগ দিচ্ছেন তা অন্য কোনও রাজ্যে পাবেন না।” 

এদিকে কয়েকদিন আগে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে কার্যত একই সুর শোনা গিয়েছিল নানুর বিধানসভার অন্তর্গত পাড়ুই থানার কসবা গ্রামে প্রাক্তন উপপ্রধান নারায়ণ ভাণ্ডারিকে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী রাখি সিংহের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে বলেন, “তৃণমূলকে হারিয়ে দিলেন এলাকার কোনও উন্নয়ন হবে না। পঞ্চায়েতে এসে বললেও কাজ হবে না। তাই প্রতিটা বুথে তৃণমূল প্রার্থীদের জিতাতেই হবে।”

এদিকে বিতর্কের আবহেই ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, “সাধারণ মানুষ যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়নকে দেখে ভোট দেন আসলে সেটাই উনি বলতে চেয়েছেন। এখন যেটা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে সেটা ভুল।” পাল্টা কটাক্ষ করেছে বামেরা। সিপিআইএমের বীরভূম জেলার সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “আসলে এটা এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। সাধারণ মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে জোর করে ভোট আদায় করতেই এসব করছে।”

Next Article