Panchayat Elections 2023: ‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে না, লাভ নেই পঞ্চায়েতে এসেও’, হুঁশিয়ারি প্রাক্তন উপপ্রধানের

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 28, 2023 | 6:33 PM

Panchayat Elections 2023: এদিন নানুর বিধানসভার অন্তর্গত পাড়ুই থানার কসবা গ্রামে তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী রাখি সিংহের সমর্থনে একটি পথ সভার আয়োজন করা হয় দলের তরফে।

Panchayat Elections 2023: ‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে না, লাভ নেই পঞ্চায়েতে এসেও’, হুঁশিয়ারি প্রাক্তন উপপ্রধানের
তৃণমূল নেতার বিতর্কিত মন্তব্যে জোর শোরগোল

Follow Us

বীরভূম: তৃণমূলকে (Trinamool Congress) ভোট না দিলে এলাকার কোনও উন্নয়ন হবে না। তৃণমূলের প্রার্থীরা না জিতলে পঞ্চায়েতে এলেও মিলবে না কোনও সহযোগিতা। এদিন দলীয় প্রচারে তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধানকে এই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে বীরভূমে (Birbhum)। যা নিয়ে জোর শোরগোল চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, এদিন নানুর বিধানসভার অন্তর্গত পাড়ুই থানার কসবা গ্রামে তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী রাখি সিংহের সমর্থনে একটি পথ সভার আয়োজন করা হয় দলের তরফে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের একাধিক তাবড় তাবড় নেতারা। ছিলেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি, তৃণমূল নেতা আকাশ শেখ। এদিকে সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। চলছে বৃষ্টি। কিন্তু, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এই সভায় ক্রমেই বাড়ে ভিড়। 

এই সভাতেই ‘বেঁফাস’ মন্তব্য করে ফেলতে দেখা যায় গ্রামের প্রাক্তন উপপ্রধান নারায়ণ ভাণ্ডারি। যা নিয়েই এত বিতর্ক। এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা ১৫টি আসনের মধ্যে ৯টিতে জিতে আছি। ৬টিতে নির্বাচন হবে। যদি এই ৬টিতে তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে দেন তাহলে এই বুথগুলিতে কোনওরকম উন্নয়ন হবে না। আপনারা পঞ্চায়েতে এসে দরবার করলেও কোনও লাভ হবে না। তাই প্রতিটা বুথ থেকে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতাতে হবে।” 

এ মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক। তবে এ নিয়ে কাজল শেখের সাফাই, এটা নারায়ন ভাণ্ডারীর ব্যক্তিগত মতামত। তবে দলীয় প্রার্থীদের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি। আগামী ৮ জুলাই রাজ্য়ে এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। ফল প্রকাশ ১১ জুলাই। ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

অন্যদিকে নারায়ন ভাণ্ডারীর মন্তব্যে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বীরভূম জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি দীপক দাস বলছেন, “গণতন্ত্র বলে কিছুই আর নেই বাংলায়। তৃণমূলের নেতারা যে যা পারছে তাই বলে যাচ্ছে। এখন আম-আদমিকে এভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরও। এটাই ওদের কালচার।” তোপ দেগেছে বামেরাও। সিপিআইএমের বীরভূম জেলার সম্পাদক গৌতম ঘোষও বলছেন, “এটাই তৃণমূলের কালচার। গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই তৃণমূলে।”

Next Article