রামপুরহাট: বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ এই জেলায় একাধিক গরুর হাট রয়েছে। আর এই গরুর হাটের আড়ালেই দীর্ঘদিন ধরে গরুপাচারের কারবার চলে আসছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের সন্দেহ গরু পাচারের অন্যতম করিডর হয়ে উঠেছিল এই চত্বর। সিবিআই তৎপরতা বাড়তেই গরু পাচারের চক্র কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়েছে। কিন্তু এসবের মধ্যেই এবার প্রায় ৫০টি গরুকে উদ্ধার করল গ্রামবাসীরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানা এলাকার সইপুর গ্রামে। গ্রামবাসীদের সন্দেহ ওই গরুগুলি পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। বুধবার দুপুরে পাচারকারী সন্দেহ হাতেনাতে তিনজনকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তিনজনের সঙ্গে ছিল ৫০টি গরু। সেগুলিকেও উদ্ধার করেন এলাকাবাসীরা।
গরুগুলি উদ্ধারের পর স্থানীয় বাসিন্দারা পাচারকারী সন্দেহ ধরা ওই তিন ব্যক্তিকে আটকে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। গরু উদ্ধারের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রামপুরহাট থানার পুলিশকর্মীরা। গ্রাম থেকে গরুগুলিকে উদ্ধার করে তিন অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। এদিকে এই বিপুল সংখ্যক গরু উদ্ধারের পর কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে প্রায়ই এই গ্রামের পথ দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের সন্দেহ, এই সব গরুগুলিকে আসলে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ওই গরুগুলিকে ঝাড়খণ্ড থেকে বীরভূমে এনে রামপুরহাটের হাটে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এরপর রামপুরহাট থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল। তবে গরুর মালিকদের কাউকে ধরা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, যাদের পাকড়াও করা হয়েছে, এরা প্রত্যেকেই রাখাল।