বোলপুর: বিতর্কে আবারও বিশ্বভারতী। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপককে শোকজ করল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধে উপাচার্যকে অবমাননা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শোকজ হওয়া তিন অধ্যাপক হলেন ওড়িয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শরৎকুমার জেনা, সঙ্গীত ভবনের মণিপুরী বিভাগের অধ্যাপক শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক বিধান বাগ। এখনও পর্যন্ত ছয়জন অধ্যাপককে শোকজ করল কর্তৃপক্ষ। গত ২ মার্চ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় অবমাননা জনক পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় তাঁদের। অভিযোগ তেমনই।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এর আগে চলতি মাসের ১০ তারিখে শিক্ষা ভাবনের স্ট্যাটাস্টিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরিন্দম চক্রবর্তী, ইন্ট্রিগেট সাইন্স বিভাগের নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও দর্শন বিভাগের টরেন্স সমুয়েলকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যেই উত্তর দিতে বলা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁরা উত্তরও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার আবারও তিন অধ্যাপককে শোকজ করল কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, একাধিকবার বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বললেই শোকজ সাসপেন্ড করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাংশ ছাত্র ছাত্রী, অধ্যাপক, আধিকারিকরা। তাঁদের অভিযোগ, আন্দোলনকে আটকাতেই কর্তৃপক্ষ এমন কাজ করছে। বারংবার এমন ঘটনা ঘটনায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলন করছিলেন। তাঁদের সমর্থনেই বিক্ষোভ করেছিল একাংশ অধ্যাপকরা। আর তার জেরেই এমন ঘটনা। বস্তুত, রাজনীতি, বিক্ষোভ যেন পিছু ছাড়তে চায় না বিশ্বভারতীর। গতমাসে বিদ্বেষ ছড়ানো, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুমিত বসুকে। জানা গিয়েছে, অর্থনীতির এক ছাত্রের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার জেরেই এমন ঘটনা। ওই ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপক সুমিত বসুকে। তাঁকে সিউড়ি আদালতে তোলাও হয়। অভিযোগকারী ছাত্রের নাম, সোমনাথ সৌ। তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসে শান্তিনিকেতন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে লেখেন, অধ্যাপক সুমিত বসু জাতিগত বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। এমনকী হেনস্থা থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে বিশ্বভারতীর এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি আদালত অবধি গড়ায়। সূত্রের খবর, অধ্যাপক সুমিত বসুও শান্তিনিকেতন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সোমনাথ সৌয়ের বিরুদ্ধে। আদালতে শুরু হয় টানাপোড়েন। সিউড়ি আদালতে এই মামলার শুনানি হয়।