বোলপুর: বিশ্বভারতীতে ছাত্র বিক্ষোভের জের। এবার শকোজ করা হল অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে ৩ দিনের মধ্যে উত্তর জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ তারিখ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সেন্ট্রাল অফিসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র ছাত্রীরা। রাত ২ টো নাগাদ ঘেরাওমুক্ত হন উপাচার্য। অভিযোগ, সেদিন সেই বিক্ষোভ উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। আর সেই কারণেই এবার তাঁকে শোকজ করল কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সেদিন যেখানে ভাঙচুর চালানো হয়, ঘেরাও করা হয়, সেখানে একজন অধ্যাপক হিসাবে তিনি ছাত্রদের উস্কানি দিয়েছিলেন এবং উপস্থিত ছিলেন। যা বিশ্বভারতীর নিয়ম বহির্ভূত। তাঁর কাছে এই নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে।সেক্ষেত্রে তাঁকে ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আগে থেকেই সাসপেন্ড ছিলেন এই অধ্যাপক।
গত সপ্তাহে আবারও ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। একাধিক দাবি-সহ সেদিন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ছাত্ররা। কিন্তু অভিযোগ, সে সময় উপাচার্য তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। এই খবর চাউর হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যকে ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি চলে।
বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা দাবি তোলেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ঘেরাও চলবে। সেই রাতে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকারাও।জানা যাচ্ছে, রাত দুটো পর্যন্ত উপাচার্য নিজের অফিসেই ছিলেন। অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রদের মারধর করে সরিয়ে উপাচার্যকে বার করেন। এবার সেই ঘটনায় অধ্য়াপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের কাছে জবাব তলব করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।