বোলপুর: ফের আশ্রমিক-রাবীন্দ্রিকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। এর আগে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের উদ্দেশ্যে কটু কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। এবার ফের আশ্রমিকদের ‘জঞ্জাল’ বলে মন্তব্য করে বসলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
রবিবার শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার’ হিসাবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। সেই উপলক্ষ্যে আজ শ্রীনিকেতনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তারপর আবার বিশ্বকর্মা পুজো! প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও শিল্প উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেইখানেই অংশ গ্রহণ করেন উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে আশ্রমিক-রাবীন্দ্রিকদের কার্যত জঞ্জাল বলে মন্তব্য করেন।
উপাচার্যের কথায়, এই স্বীকৃতির জন্য প্রাক্তনী আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিকদের কোনও ভূমিকাই নেই। কারণ তাঁরা কোনও সহযোগিতা করেননি। উল্টে গতকালের এই খবর আসার পর আশ্রমিকদের একাংশের প্রশ্ন এই তকমা বিশ্বভারতী কি আদৌ ধরে রাখতে পারবে? অর্থাৎ নেগেটিভিটি ছড়াচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন “এই তকমার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর্কিওলজি অফ ইন্ডিয়া ও সকল বিশ্বভারতীর কর্মীদের সাহায্যেই এটা সম্ভব হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে শান্তিনিকেতনে স্কুল ও ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথ চলা শুরু হয়। এরপর ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় এই বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল রিয়াধ কনফারেন্সে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করে ইউনেস্কো