বোলপুর: সদ্য হেরিটেজ তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন। আর তারপরই নতুন তরজা শুরু বিশ্বভারতী আর রাজ্য সরকারের মধ্যে। এক সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরপর দুটি চিঠি দিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতী সংলগ্ন রাস্তা ফেরানোর আর্জি জানিয়ে শনিবার দ্বিতীয় চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিশ্বভারতীর কোনও ক্ষতি হলে যদি ইউনেসকো তাদের দেওয়া হেরিটেজ তকমা সরিয়ে নেয়, তাহলে তার দায় হবে উপাচার্য ও তাঁর সহকর্মীদের। তাই অবিলম্বে রাস্তা ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উপাচার্যের দাবি, যদি ওই রাস্তায় বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করা না যায়, তাহলে রাস্তার দু ধারে থাকা হেরিটেজ ভবনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর এই ভবনগুলির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে শান্তিনিকেতনের কাছ থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমাও কেড়ে নিতে পারে ইউনেসকো। আশ্রমের হেরিটেজ ভবন রক্ষার্থে এবং আনন্দ পাঠশালার শিশুদের নিরাপত্তার খাতিরে তাই রাজ্য সরকারের এ বিষয়ে তৎপর হওয়া উচিত বলে উল্লেখ্য করেছেন তিনি।
এর আগে মমতার কাছে উপাচার্য এই একই দাবি জানানোর পর আশ্রমিকদের একাংশ পাল্টা চিঠি দিয়ে বিরোধিতা করেন। তাঁরা দাবি করেন, ওই রাস্তা ফেরানোর প্রয়োজন নেই। শনিবার দেওয়া চিঠিতে উপাচার্য তাঁদের কটাক্ষ করে লেখেন, “যাঁরা বর্তমানে রাস্তা হস্তান্তরের বিরোধিতা করছেন, কোনও ভবনের ক্ষতি হলে তাঁরাই আবার গোটা ঘটনার দায় বিশ্বভারতীর ঘাড়ে ঠেলে দেবে।”
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ও বিশ্বভারতীর দ্বন্দ্বের মাঝে বছর দেড়েক আগে এই রাস্তাটি বিশ্বভারতীর হাত থেকে নেয় রাজ্য সরকার। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার পরই রাস্তা ফিরে পেতে নতুন করে তৎপর হয়েছে বিশ্বভারতী।