ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য, এবার শিক্ষকদের আটকে রাখার অভিযোগ

সৈকত দাস | Edited By: arunava roy

Feb 27, 2021 | 3:51 PM

অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের দফতরে ডেকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে‌!

ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য, এবার শিক্ষকদের আটকে রাখার অভিযোগ
ফাইল ফটো

Follow Us

শান্তিনিকেতন: প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের দফতরে ডেকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল খোদ উপাচার্যের বিরুদ্ধেই! এই ঘটনায় শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)’ র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন কয়েকজন অধ্যাপক। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বভারতীতে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে সই সংগ্রহ নেমেছিলেন কয়েকজন অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা। তারপরেই নাকি তাঁদের দফতরের ঘরে ডেকে আটকে রাখেন উপাচার্য! এ দিকে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সহকর্মীদের আটকে রাখার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন দুই অধ্যাপক। মুহূর্তের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে যাওয়ায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। এ দিকে ইতিমধ্যেই নাকি বিশ্বভারতীর ইংরেজি বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য।

গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন ঘটনায় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে এ দিন ঘটল আর এক বেনজির ঘটনা। ঠিক কী ঘটেছে?

শুক্রবার সকালে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সই সংগ্রহে নেমেছিলেন কয়েকজন। অভিযোগ, এ দিন দুপুর ১২টায় ওই সকল অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের দফতরে ডেকে পাঠান উপাচার্য। তাঁদের কাছে সই সংগৃহিত কাগজ ফেরত চান উপাচার্য। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করলে ওই অধ্যাপকদের প্রায় ৬ ঘণ্টা তাঁদের আটকে রাখেন উপাচার্য! সেই সঙ্গে সংগৃহিত কাগজ বারবার ওই অধ্যাপকদের কাছে ফেরত চাইতে থাকেন উপাচার্য। এই প্রেক্ষিতে দুই অধ্যাপক আটক সহকর্মীদের জন্য ধর্নায় বসলে মুহূর্তের মধ্যে খবর চাউর হয়। সহকর্মীদের আটকে রাখায় শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন দুই অধ্যাপক। জানা গিয়েছে, সন্ধে নাগাদ প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ওই অধ্যাপকদের ছাড়া হয়। পাশাপাশি সই সংগ্রহকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই যেহেতু ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক, তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় দিনেদুপুরে শুটআউট, বাবার পর ছেলেকেও গুলি করে হত্যা!

এই ঘটনায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। তবে এ বিষয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Next Article