বীরভূম: গত কয়েকদিনে সিবিআইয়ের ডাকাডাকিতে একেবারে নাজেহাল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। কখনও ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলা, আবার কখনও গরুপাচার মামলা। কলকাতা-বোলপুর যাতায়াত চলছেই। এরইমধ্যে মঙ্গলবার বোলপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনেকটা পুরনো মেজাজেই ধরা দিলেন বীরভূমের ‘কেষ্ট’। সিবিআই থেকে বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি থেকে শিবের উপাসনা, মুখ খুললেন সবকিছু নিয়েই। এদিন অনুব্রত দাবি করেন, বঙ্গে বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের দল চলে, সঙ্গে কিছু তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া লোক। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সিবিআইয়ের এই ডাকাডাকির কারণ একেবারেই ‘ফলস’।
অনুব্রতর পর্যবেক্ষণ, এভাবে বিজেপির হিতে বিপরীত হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে এদিন বলেন, “এরা তো লুকিয়ে করছে যা কিছু। রাজনীতি করছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ওদের তো লোকজন নেই। নোংরামি করছে। আরে তৃণমূলের লোক নিয়ে কি আর বিজেপি করা যায়। আমি যদি এখন বিজেপিতে যাই, তৃণমূলের লোকেরা তো আরও সক্রিয় হবে। বলবে বেইমানের বাচ্চাটা, কেষ্ট মণ্ডল বিজেপিতে চলে গেল। দে আরও বেশি করে ভোট দে তৃণমূলকে। এতে তো তৃণমূলই শক্তিশালী হচ্ছে। সংগঠনের লোক তৈরি করে রাজনীতি করতে হয়। লড়াইটা রাজনীতির ময়দানেই হোক। লড়াই করে আমি উঠে এসেছি। ৩৪ বছর বামেদের সঙ্গে লড়েছি, কংগ্রেসের সঙ্গে লড়েছি।”
গত কয়েকদিনে গরুপাচার কাণ্ডে একাধিকবার নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। কখনও গিয়েছেন, কখনও এড়িয়ে গিয়েছেন তলব, কখনও আবার দীর্ঘ জেরার মুখে ‘শরীরে কষ্ট’ নিয়ে এসএসকেএমের পথে গাড়ি নিয়ে ছুটেছেন। এদিন সেই সিবিআই প্রসঙ্গ উঠতেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমি তো চুরিও করি নাই, ডাকাতিও করি নাই। আমি মহাদেবের ভক্ত। ওরা যেটা বলে ডাকছে ফলস ডাকছে।” একইসঙ্গে অনুব্রত জানান, শ্বাসের কিছুটা সমস্যা রয়েছে তাঁর। তবে ২১ জুলাইয়ের সভাতে থাকবেন তিনি। আর পুজো মিটলেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নামবেন। সমস্ত ব্লকে ব্লকে সভা হবে, জনসভা হবে। ঠিক যেভাবে সভা করেন তিনি।