বীরভূম: বীরভূমের দাপুটে নেতা তো তিনি ছিলেনই, এবার হলেন বাঘও। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) বীরভূমে দাঁড়িয়েই বাঘের সঙ্গে তুলনা করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ফিরহাদের বক্তব্য, বাঘেরা বিচরণক্ষেত্র থেকে সরলে সেখানে শিয়ালের ভিড় বাড়ে। তাতে কিছুই আসে যায় না। বাঘ ফিরলে সেই শিয়ালদের আবারও সরে যেতে হয়।
শনিবার রামপুরহাটের বিষ্ণুপুর এলাকায় জনসভা করেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই ফিরহাদ বলেন, “মমতা ছিলেন, মমতা আছেন, মমতা থাকবেন। লাফালাফি হচ্ছে। কখনও সিউড়িতে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে কেউ কেউ আসছে। কেউ কেউ এখানে আসছে, বীরভূমে একটু লাফালাফি করছে। টিভি চ্যানেলে দেখা যায় বনের বাঘ একদিক থেকে অন্যদিকে গেলে শিয়ালগুলো লাফালাফি করে। আবার যেই বাঘ আসে, শিয়ালও লেজ তুলে পালিয়ে যায়। বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছ। সারা জীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন আবার বেরিয়ে আসবে, আজকে যে শিয়ালগুলো হুক্কাহুয়া হুক্কাহুয়া করছে, তারা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে।”
একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি। আদর্শগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসটা করি।” তবে অনুব্রতর পাশে দাঁড়ালেও এদিন নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের উষ্মার সুর শোনা গেল ফিরহাদের গলায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “নিশ্চিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা অন্যায় করেছে। সে আমাদের তার কাজে অপমান করেছে। নিশ্চিতভাবে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তৃণমূলের সবাইকে চোর বলার অধিকার বিজেপির রয়েছে। বিজেপির থেকে বড় চোর ভারতবর্ষে আর কেউ নেই।”
যদিও ফিরহাদ হাকিমের এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের কাছে যে সমস্ত নেতারা টাকা খেয়েছেন, এখন যদি অনুব্রত মণ্ডল ফিরহাদের নাম করে দেন, সে কারণেই বাঘটাঘ বলে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। নিজেরা যতই বলুক আমরা চোর নই, মানুষ বলছে ওরা চোর।”