বীরভূম: তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডলের নামে। ইতিমধ্যেই ভয় দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ময়ূরেশ্বরের এক যুবক। এবার সরাসরি তোলাবাজির অভিযোগ উঠল বীরভূমের ‘বাহুবলী’ নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ আনলেন সাঁইথিয়ার এক গাড়ি ব্যবসায়ী। অরূপরতন ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যবসায়ীর দাবি, দাবি মতো টাকা দিতে পারেননি তিনি। সে কারণে তাঁর বরাত বাতিল হয়ে যায়।
অরূপরতন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “১০ কোটি টাকা আমাদের কাছ থেকে তোলা চাওয়া হয়। অনুব্রত মণ্ডল চেয়েছিলেন। সে কারণে ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা দিই, গাড়ি দিই।” ওই ব্যবসায়ীর দাবি, সরকারি কাজের বরাত পেতে এই টাকা দিতে হয় তাঁকে। অরূপরতন বলেন, “সরকার থেকে তিলপাড়া সংস্কারের একটা প্রস্তাব বের হয়। সেই কাজ আমরা পাই। ওনার সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু ১০ কোটি টাকার পুরোটা দিতে পারিনি। ৫ কোটির কিছু বেশি দিই। আর গাড়ি। তাই আমাদের কাজটাও আর হয়নি।”
অরূপরতন ভট্টাচার্য জানান, ২০১৮ সালে তিলপাড়া জলাধার সংস্কারের বরাত পেয়েছিল তাঁর সংস্থা লোকনাথ অটোমোবাইল। এই কাজের জন্য অনুব্রত মণ্ডল ১০ কোটি টাকা চান বলে অভিযোগ। কিন্তু কীভাবে উঠে এল এই ব্যবসায়ীর নাম? শুক্রবার সিবিআই তদন্তে নেমে বোলপুরের ত্রিশূলপট্টির ভোলে ব্যোম রাইসমিলে যান। সেখানেই পাঁচ পাঁচটি বহুমূল্যবান গাড়ির খোঁজ মেলে। তারই একটি সেই গাড়ি, যেটি তিলপাড়া সংস্কারের সময় অরূপরতন অনুব্রতকে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। অরূপরতনের অভিযোগ, এই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ছিল তাঁরই অংশীদার প্রবীর মণ্ডলের নামে। গাড়িটি ছিল ফোর্ড এনডেভার।
অরূপরতনের আরও অভিযোগ, “২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর একদিন রাত দেড়টায় আমার কাছে ফোন আসে। জেলা পরিষদ থেকে টাকাটা তুলবি নাকি তোদের নামে যে গাড়ি আছে, তাতে গাঁজা ভরে কেস দিয়ে দেব? সারা জীবন জেলে থাকবি।”