বীরভূম: সুরুল জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর কথা সকলেরই শোনা। বীরভূমের বোলপুরের সুরুল গ্রাম। সেই গ্রামের জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে প্রতি বছর বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন। এ পুজোর আনাচে কানাচে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। দশমীর পুজোতেও তারই রেশ। এখানে অপরাজিতা পুজো দিয়ে শুরু হয় দশমীর পুজো। পুজোর শেষে পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করে অপরাজিতা গাছে লতা বেঁধে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। সুরুল জমিদার বাড়িতে দশমীতে সিঁদুর খেলার রেওয়াজ নেই। বরং এদিন বিল্বপত্রে দুর্গা নাম লেখেন বাড়ির লোকেরা। শুধু বাড়ির লোকেরাই নন, আশপাশ থেকে আসা বহু মানুষই এই রেওয়াজে সামিল হন।
সুরুল জমিদার বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয় দশমীর রাতে। তবে সকাল থেকে নিয়ম মেনে পালিত হয় বিভিন্ন রেওয়াজ। অপরাজিতা লতা পুজো করার পর তা সদস্যদের হাতে বেঁধে দেওয়া হলে নির্ঘণ্ট মেনে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়। এদিন ঠাকুরদালানে বসে বেল পাতায় লেখা হয় দুর্গা মন্ত্র। এই মন্ত্র লেখার পর তা জপ করেন সকলে। তাঁদের বিশ্বাস, এই ধ্যানমন্ত্র জপ করে মায়ের কাছে কিছু চাইলে মা খালি হাতে ফেরান না।
সুরুল জমিদার বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। যদি বিসর্জনের সময় এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয় তা হলে বিসর্জন বন্ধ রাখা হয়। কারণ, এই বাড়ির নিয়ম মাকে অক্ষত অবস্থায় বিসর্জন দিতে হবে। যদি বৃষ্টির জলে প্রতিমার এক ফোঁটাও ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে অমঙ্গলের আশঙ্কা করেন এ বাড়ির লোকেরা।