Visva Bharati University: বেশি খেলে বদহজম হয়, পশ্চিমবঙ্গে তা দেখা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসেই ‘রাজনীতি’র কথা উপাচার্যের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 08, 2022 | 4:19 PM

Birbhum News: যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Visva Bharati University: বেশি খেলে বদহজম হয়, পশ্চিমবঙ্গে তা দেখা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসেই রাজনীতির কথা উপাচার্যের
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

বীরভূম: কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে অনুষ্ঠান। রবি-স্মরণেও রাজ্য-রাজনীতি নিয়ে মুখর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সোমবার ২২ শ্রাবণের অনুষ্ঠানেই উপাচার্যকে বলতে শোনা গেল, বেশি খেলে বদহজম হয়ে যায়, তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। একইসঙ্গে উপাচার্যের মন্তব্য, তিনি মন্দিরে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজনীতি করেন। তাঁর ব্যাখ্যা, রাজনীতি আসলে অন্যায়ের প্রতিবাদ। তবে উপাসনা গৃহে বসে কেন এ ধরনের মন্তব্য উপাচার্য করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কী বলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী?

২২ শ্রাবণের অনুষ্ঠান ছিল বিশ্বভারতীতে। সেখানেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, “ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করলাম। অতএব সরকারি জিনিসপত্র নেওয়ার অধিকার তো আমার জন্মগত হয়ে গেল। এ প্রসঙ্গে আজকের পশ্চিমবঙ্গের কথা উল্লেখ করছি। মানুষের টাকা আমি নিজের মতো করে নেব, তাতে অন্যায় কী? সরকার তো অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। কিন্তু অনেক সময় নেওয়ার এই যে ইচ্ছা, তাতে বদহজম হয়ে যায়। এই বদহজমের প্রকাশ আজ আপনারা পশ্চিমবঙ্গে দেখছেন। অর্থাৎ অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ তৈরি হচ্ছে। এটাই কিন্তু রাজনীতি।”

প্রসঙ্গ গুরুদেব

উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী রাজ্য রাজনীতির কথার অনুসঙ্গে তুলে আনেন রবীন্দ্রনাথের কথাও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “গুরুদেব কিন্তু তাই করেছিলেন। গুরুদেব নাইটহুড ত্যাগ করেছিলেন। সেটা রাজনীতি। গুরুদেব গ্রামে গ্রামে গিয়ে আলোচনা করেছেন হিন্দু মুসলমান বিভেদের প্রয়োজন নেই কোনও, এটাও রাজনীতি। অর্থাৎ অন্যায়ের প্রতিবাদও রাজনীতি। আমি যখন মন্দিরের মধ্যে বা যে কোনও অনুষ্ঠানে এই কথাগুলো বলি, আমি কিন্তু রাজনীতি করি সেই অর্থে। কারণ ধাক্কা মারতে হলে, যে কথাগুলো বলব, সে কথাগুলো কিন্তু সকলের কাছে মনের মতো নাও হতে পারে।”

উপাসনা গৃহে বসে অন্য কথা এই প্রথম নয়

যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট চিকিৎসক, পদ্মশ্রী সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভা ছিল বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে। পদ্মশ্রী সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি তৈরি হয়েছিল, যাঁর উন্মোচন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। উপাসনা গৃহে বসে এ প্রসঙ্গ তুলে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমার সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না। যিনি সভার অধ্যক্ষ ছিলেন, তিনি কখনও বিশ্বভারতীর ভাল চান না। অপমান করেই আনন্দ পান। তাই ওই মঞ্চে আমি বসতে চাইনি।” প্রসঙ্গত, যে মূর্তিটির উন্মোচন হয়, সেটির নীচে অনেকের নাম থাকলেও, ছিল না বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম।

Next Article