বীরভূম: ফের মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) সাপ। কিছুদিন আগেই মেদিনীপুরের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেখা গিয়েছিল এই ছবি। এবার বীরভূম। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের বালতিতে সাপ দেখা যায়। প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ময়ূরেশ্বরের দাসপলসা গ্রামপঞ্চায়েতের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘিরে সোমবার তুমুল হইচই শুরু হয়। ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখারও অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। এই অভিযোগ সামনে রেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। এদিন মিড ডে মিল খাওয়া প্রায় ৪০ জন পড়ুয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, কখনওই এই স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার পর তা ঢাকা দেওয়া হয় না। এদিনও ডালের পাত্র খোলা ছিল। কোনওভাবে সাপটি পড়ে বলে মনে করছেন তাঁরা। রামপুরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছিলেন বংশীধর সরকার নামে এলাকার এক যুবক। তিনি বলেন, “সাপ পড়েছিল ডালে। ওই ডালই বাচ্চাদের খাইয়ে দিয়েছে। এবার বাচ্চাগুলো বমি করছে। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ওরা সুস্থ থাকুক আর কিছুই চাই না। তবে স্কুলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। খাবারের পাত্রে ঢাকনা দেওয়া থাকলে তো এসব হতো না। কোনও সময়ই খাবারে ঢাকনা দেয় না। মাস্টারমশাইরা এখন বলছেন কাউকে বলতে না।”
ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকে অবস্থিত এই স্কুল। সুধাংশু বাগদির ছেলে এই স্কুলে পড়েন। তাঁর কথায়, “চিতি সাপ পড়েছিল ডালে। কেউ দেখেনি। খাবার খাওয়ার পর দেখছে বালতিতে সাপ। ততক্ষণে অতগুলো বাচ্চা খাবার খেয়ে ফেলেছে। এক একটা বাচ্চা বমিও করছে।” নিতাই সরকারের ভাইপোও পড়েন এই স্কুলেই। নিতাই বলেন, “একটা চিতি সাপ ডালে পড়ে পুরো সেদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই খাবার বাচ্চারা খেয়েছে। যারা খেয়েছে শরীর খারাপ করছে। তাই রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার দাদার ছেলে ওই স্কুলে পড়ে। ওকেও হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। আমি শুনেই ছুটে আসি। রান্নার মধ্যে কীভাবে এই সাপ পড়ল, তা তো স্কুলের দেখা উচিত।”
এ বিষয়ে ময়ূরেশ্বরের বিডিও দীপাঞ্জন জানা বলেন, “আমরা এসে দেখি মিড ডে মিল নিয়ে একটা সমস্যার অভিযোগ উঠছে। এটা তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। জেলা থেকে ডিআই আসছেন। মিড ডে মিলে সাপ পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে। তবে এটা তদন্তের ব্যাপার। এ নিয়ে এভাবে বলতে পারব না। বাচ্চাদের মধ্যে যারা খাবার খেয়েছেন তাদের একজনের বমি হয়েছে বলে শুনেছি। বাকিরা এখনও স্থিতিশীলই বলে জানতে পেরেছি। সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”