বীরভূম: অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) সমর্থনে প্রতিবাদ সভা। শনিবার বোলপুরে নোবেলজয়ীর বাড়ি ‘প্রতীচীর’ সামনে এক প্রতিবাদ সভার ডাক দেওয়া হয়। বাউলদের সঙ্গে নিয়ে এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত রয়েছেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, পরিচালক গৌতম ঘোষ-সহ আরও অনেকেই। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে উচ্ছেদ-নোটিস পাঠিয়েছে। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। আপাতত বিশ্বভারতীর এই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে’র সিঙ্গল বেঞ্চ। এরইমধ্যে শনিবার এই প্রতিবাদ কর্মসূচি।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিশ্বভারতী যাতে অমর্ত্য সেনের বিতর্কিত সেই জমি দখল না করতে পারে, তার জন্য সমস্ত বাউল শিল্পী যেন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসেন। ‘বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটির’ ব্যানারে শনিবার অমর্ত্য সেনের সমর্থনে সেই ‘সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ’ চলছে। তাই সকলকে বাউল শিল্পী নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বীরভূমের মন্ত্রীদের এই নির্দেশ। তৃণমূলের ব্যানার ছাড়া এই প্রতিবাদমঞ্চে শামিল হয়েছেন বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ। থাকার কথা প্রতিবাদে সামিল হওয়ার কথা সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমন, চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরীর।
সকাল থেকে ‘প্রতীচীর’ সামনে জেলার তৃণমূল নেতাদের ভিড়। উপস্থিত রয়েছেন কাজল শেখও। তিনি বলেন, “তিনি শুধু সারা বাংলার গর্ব নন, সারা ভারতবর্ষের গর্ব। সারা পৃথিবীর গর্ব। যাঁর একবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলে জীবন ধন্য হয়ে যায়। সেই মানুষকে অপমান করা হচ্ছে। বিশ্বভারতী একটা শান্তির জায়গা। সেই জায়গাকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ। প্রতিটি মানুষের মতামত প্রকাশের অধিকার অবশ্যই আছে। সেই সাংবিধানিক অধিকারে আজ আমরা এখানে এসেছি।”
অমর্ত্য় সেনের জমি বিতর্কে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ থেকে ফেরার পথে বোলপুর স্টেশনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “অমর্ত্য সেনের বাড়িতে হাত দিলে না…। আমাকে তো চেনে না। আমি যা দেবো না।” যদিও এ নিয়ে পাল্টা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল যত চোরের সঙ্গে থাকে। কোনও ভদ্র সভ্য লোকের সঙ্গে থাকে না। গরিব মানুষের সঙ্গে থাকে না। অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন এটা রেকর্ড। জমিটা ছেড়ে দিলেই মিটে যায়। ওরা যেমন সরকারি বেসরকারি জমি রাজ্যজুড়ে লুঠ করে, তারা তো তাদের সঙ্গেই তো থাকবে। বাংলার গৌরব মানে বাংলা লুঠ করার অধিকার কেউ দেয়নি। একজন নোবেলজয়ী যদি জমি নেন, তা নিয়ে এমন বিতর্ক হয়, তা মোটে গৌরবের না।”