বোলপুর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati) সমাবর্তন। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার রাতেই শান্তিনিকেতন পৌঁছেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার সকাল থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের ভিড় ক্যাম্পাসে। এরইমধ্যে উপাচার্য বিরোধী পোস্টারে ছয়লাপ বিশ্বভারতী। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই সমাবর্তন, এমনই অভিযোগ তুলে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কটেরও ডাক পড়েছে পোস্টারে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ বাড়াতেই কি সমাবর্তনের আয়োজন? কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছেন, তা জানতে পারা যায়নি। তবে সমাবর্তনের আগে এই পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে বিবিসির একটি তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার পারদ চড়ে বিশ্বভারতীতে। এরপর শুক্রবার এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই এই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। মঞ্চে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সুভাষ সরকার।
সকাল থেকে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বিশ্বভারতীচত্বরে। বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টর গেট। প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে সেই গেটের ভিতর দিয়েই প্রবেশ করতে হয়েছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মহিলা পুলিশের সংখ্যাও প্রচুর।
তবে পোস্টার নিয়ে বিশ্বভারতীতে সকাল থেকে চাপানউতর থাকলেও তেমন অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এদিন সকালে বোলপুর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছনোর পরই সোজা ছাতিমতলায় যান রাজনাথ সিং। সঙ্গে ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও। সেখানে পুষ্পার্ঘ্য দেওয়ার পর সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থলে যান।
গত কয়েকদিন ধরে অমর্ত্য সেনের জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই অমর্ত্য সেনের অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি এই জমি বিতর্কের আবহেই আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন উপাচার্য। প্রশ্ন তোলেন আশ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। গত বুধবার সাপ্তাহিক উপাসনায় অংশ নিয়ে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত। বিশ্বভারতীকে তাঁরা কলুষিত করছেন বলেও বলতে শোনা যায় উপাচার্যকে।