বোলপুর : “বিশ্বভারতী (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক বিরোধিতা করি, তাই আমার বাড়ি কেড়ে নিতে চাইছে। তাই হয়তো আমাকেই নিশানা করা হচ্ছে।” সংঘাতের আবহে কয়েকদিন আগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে এ ভাষাতেই তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল নোবেলজয়ী অর্মত্য সেনকে। এবার ফের একবার উপচার্যের প্রসঙ্গ উঠতেই একরাশ বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁকে। একইসঙ্গে তাঁকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে সে বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও জ্ঞানই নেই বলে তাঁর মত। জমি নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্যে মনের কোণে কী কোথায় তবে সামন্য হলেও ব্যথা জমেছে?
এই প্রশ্নের উত্তরে খানিক ভারাক্রান্ত মনেই অর্মত্য সেন বলেন, “মনে ব্যথার অবকাশ কই। যা করলেন, তারা যেভাবে হেনস্থা করছেন, সেই বিষয়ে তাঁরা জ্ঞানহীন।” তাঁর স্পষ্ট দাবি, “ওই জমি আমার বাবার নামে ছিল। যা তাঁর মৃত্যুর পর আমার মায়ের নামে হওয়ার কথা। তারপর তা আমার নামে হবে। এটাই তো নিয়ম। এতে এত তর্কাতর্কির তো কিছু নেই।” প্রসঙ্গত, যে জমি নিয়ে বিতর্ক অমর্ত্য সেনের সেই বাড়ির জমি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাবার নামে ছিল। ইতিমধ্যেই সেই জমি নিজের নামে করে মিউটেশন করার জন্য অমর্ত্য সেন আবেদনও করেছেন।
এদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেন মোট ১.৩৮ একর জমি ভোগ করছেন। যার মধ্যে আইনতভাবে তাঁর জমি ১.২৫ একর। বাকি ১৩ ডেসিমল জমি বিশ্বভারতীর দাবি জানিয়ে অবিলম্বে সেটি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। চিঠিও দেওয়া হয় অর্মত্য সেনকে। যদিও অর্মত্য সেনের দাবি, “এটা আমার বাড়ি। আমি তো এখানেই থাকি। বিশ্বভারতীর কর্তারা একদিকে যেমন ছাত্রদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন, তেমনই অন্য দিকে আমার বাড়িটা নিয়ে নিতে চান। কেন করছেন তার উত্তর পেতে জ্ঞানী লোকেদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে। আমার পক্ষে বলা খুব কঠিন।”