বীরভূম: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল বহুদিনের। ১ থেকে ১০-এর মধ্যে নাম আসবে, এমনটাই চেয়েছিল বীরভূমের (Birbhum) কিশোরী। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক একদিন আগেই ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা। ডান হাতেই অ্যাসিড (Acid) ছুড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সহপাঠীদের বিরুদ্ধে। মুহূর্তে পুড়ে গেল হাত। তবে দমতে নারাজ সে। বৃহস্পতিবার রাইটার জোগাড় করে পরীক্ষায় বসতে চলেছে সেই কিশোরী। বীরভূমের নলহাটি থানার মেহেগ্রামের ঘটনা। ইতিমধ্যেই নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার বাড়িতে পড়াশোনা করছিল। সেই সময় তারই স্কুলের এক বন্ধু তাকে উপহার দেওয়ার জন্য বাইরে ডাকে। বন্ধুর ডাকে সে বাড়ির বাইরে বেরতেই এক নাবালক তার দিকে একটি চিঠি এগিয়ে দেয়। চিঠিটা নেওয়ার পরই অ্যাসিড ঢেলে দিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
ওই ছাত্রীকে বলা হয়েছিল, ‘তোর জন্য একটা জিনিস আছে।’ ওই ছাত্রী জানিয়েছে, চিঠিটিতে লেখা ছিল, ‘১ থেকে ১০-এর মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার খুব শখ তোর। আমরা সেই শখ পূরণ হতে দেব না।’
ঘটনার পরই প্রথমে নলহাটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই কিশোরীকে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় তাকে। একদিনের মধ্যে একজন ‘রাইটার’ জোগাড় করে পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করেছে ওই কিশোরী। অনুমতিও মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে নিরাপদে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
কিশোরীর মায়ের দাবি, মেয়ের এক সহপাঠী এই কাজ করিয়েছে বলে তাঁদের অনুমান। সেই সহপাঠীর সঙ্গীরাই ওই দিন চিঠি দিতে এসেছিল বলে জনিয়েছে কিশোরী। হিংসার কারণেই সহপাঠীরা এমন কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। পুরনো কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।