Sukanya Mondal: স্কুলেই যান না দীর্ঘদিন, বেতন বন্ধ হয়ে গেল অনুব্রত-কন্যার

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 22, 2023 | 8:41 PM

Sukanya Mondal: সুকন্যার প্রাথমিক স্কুলের চাকরি নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন কেউ কেউ। বিরোধীদের প্রশ্ন, এতদিন বেতন দেওয়া হচ্ছিল কেন?

Sukanya Mondal: স্কুলেই যান না দীর্ঘদিন, বেতন বন্ধ হয়ে গেল অনুব্রত-কন্যার
অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (ফাইল ছবি)

Follow Us

বীরভূম : পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বাবা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যখন জেলবন্দি, তার মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল মেয়ে সুকন্যার বেতন। জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে সুকন্যার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বীরভূমের বোলপুরে কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলে যাচ্ছেন না। আর সে কারণেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল সুকন্যা মণ্ডলের বেতন। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রাপ্য ছুটির মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই বন্ধ করা হয়েছে বেতন।

জানা গিয়েছে, সুকন্যার বাড়ি থেকে মাত্র আড়াই মিনিটের দূরত্ব সুকন্যার স্কুলের। সূত্রের খবর, তিনি নাকি ক্লাস নিতে সেখানেও যেতেন না দীর্ঘদিন। তাঁকে নাকি স্কুলে অনেকেই দেখেননি। এমনটাও অভিযোগ উঠেছিল, স্কুলে না যাওয়া সত্ত্বেও প্রত্যেক মাসে সুকন্যা বেতন পেতেন নিয়ম করে। হাজিরা খাতাও রোজই পৌঁছে যেত তাঁর বাড়িতে। এবার সেই সুকন্যারই বেতন বন্ধ হয়ে গেল।

এ ব্যাপারে প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না, আমি বাইরে রয়েছি। আমি ফোনে এই সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না।’

বীরভূমের তৃণমূল সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্য়ায় বলেন, এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকার যা ভাল মনে করেছে, তাই করেছে। আমার কিছু বলার নেই। তবে বিজেপির প্রশ্ন, এতদিন বেতন দেওয়া হচ্ছিল কেন? বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘আজ ৭০০ দিন হয়ে গেল কলকাতায় বেকার শিক্ষিত যুবক যুবতীরা আন্দোলন করছেন। তাঁদের সমবেদনা জানানোর কেউ নেই। আমরা জানতে চাই, সুকন্যাকে এতদিন চাকরির টাকা দেওয়া হল কেন?’ সুকন্যার চাকরির সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতা-নেত্রীরাও যুক্ত আছেন বলে মনে করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর তদন্তের স্বার্থে সুকন্য়াকেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দিল্লিতে ইডির দফতরেও হাজিরা দিতে হয়েছিল তাঁকে। দুর্নীতির টাকার শিকড় খুঁজতে গিয়ে গোয়েন্দাদের নজরে অনুব্রতর পাশাপাশি তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টও চলে আসে।

Next Article