Durga Puja 2022: চোর ডাকাতের উপদ্রবে গ্রাম ছেড়েছিলেন চক্রবর্তীরা, কিন্তু ৪০০ বছরের পুজো বন্ধ হয়নি আজও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 26, 2022 | 11:09 PM

Birbhum News: বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার জঙ্গলঘেরা মানকর গ্রাম। সে গ্রামের দুর্গাপুজো এখনও ঐতিহ্য হারায়নি এতটুকু।

Durga Puja 2022: চোর ডাকাতের উপদ্রবে গ্রাম ছেড়েছিলেন চক্রবর্তীরা, কিন্তু ৪০০ বছরের পুজো বন্ধ হয়নি আজও
চলছে প্রতিমা তৈরি। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

বীরভূম: ৪০০ বছর আগের কথা। এলাকায় ঘন জনবসতি থাকলেও সঙ্গে ছিল চোর-ডাকাতের দৌরাত্ম্য। এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস ক্রমেই হুমকি হয়ে উঠছিল। ধীরে ধীরে লোকজন এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। কেউ চলে যান লোকপুরে, কেউ আবার কড়িধ্যা বা অন্য কোথাও। তবে বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গেলেও মানকরের চক্রবর্তী পরিবারের দুর্গাপুজো কিন্তু এখনও থেকে গিয়েছে স্বমহিমায়।

বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার জঙ্গলঘেরা মানকর গ্রাম। সে গ্রামের দুর্গাপুজো এখনও ঐতিহ্য হারায়নি এতটুকু। এখন তো দেবীর জন্য কংক্রিটের মন্দিরও তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এক সময় এখানে ছিল তালপাতার মন্দির। সে কারণে বৃষ্টি পড়লে প্রতিমার গায়ে জল পড়ত। বৃষ্টির জলে গা ভেজে প্রতিমার। শোনা যায়, তা দেখেই কমলপুরের আঢ্য পরিবার এই দুর্গামন্দির নির্মাণ করিয়ে দেন। এই আঢ্য পরিবারের সদস্যরা এখনও অষ্টমীর দিন পুজো দিতে আসেন মানকরে।

এখানকার দুর্গাপুজোর প্রতিমার বৈশিষ্ট্য সরস্বতীর সঙ্গে থাকে গণেশ, লক্ষ্মীর সঙ্গে কার্তিক। কথিত আছে, এই প্রতিমার এমন বৈশিষ্ট্যের কারণ, একদিন জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গায় লক্ষ্মী, কার্তিক, সরস্বতী ও গণেশ একসঙ্গে খেলা করছিল। সেই সময় কেউ এসে যায় সেখানে। লক্ষ্মী, সরস্বতীরা যে যেখানে ছিল, সেখানে থেকে যায়। সেইমতোই এখানকার মূর্তি। এই পুজো নিয়ে আরও একটি কথা শোনা যায়। এই পুজোয় পাঁঠাবলি হয় অষ্টমীর দিন। নবমীর দিন ভোগ হিসাবে দেবীকে তা নিবেদন করা হয়। ভাতের সঙ্গে ন’রকমের ভাজা ও তরকারি দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, হজরতপুরের এক পরিবার বংশপরম্পরায় দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে আসছেন। এমনকী রীতি মেনে বংশপরম্পরায় এই পুজো করেন চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যরাই। জঙ্গলঘেরা এই জায়গায় বছরভর কেউ না থাকলেও পুজোর সময় চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যরা চলে আসেন। পুজোর চারদিন ধরে এখানে পুজোয় ধুমধাম চলে। পুজো শেষে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের পর সকলে আবার ফিরে যান নিজেদের ঠিকানায়। তবে চারটে দিন এই প্রতিমা দেখতে আশেপাশে গ্রামগুলি থেকেও বহু মানুষ আসেন।

Next Article