বীরভূম: দুবরাজপুর থেকে গ্রেফতার এক বারুদ ব্যবসায়ী। বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রামপঞ্চায়েতের বোধগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ মুজিবর নামে ওই বারুদ ব্যবসায়ীকে। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার শিকড় অবধি পৌঁছতে চাইছে পুলিশ। অভিযুক্তের কাছ থেকে পিস্তল, মাস্কেট, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। অজয়ের ধার থেকে মুজিবরকে গ্রেফতার করে এই অস্ত্রসস্ত্রের খোঁজ পায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ। গত শনিবার বোধগ্রাম থেকে শেখ মুজিবরকে গ্রেফতার করা হয়। দুবরাজপুর থানার পুলিশের কাছে আগেই খবর এসেছিল, এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘাপটি মেরে রয়েছে কেউ। জানা যায়, অজয় নদের ধারে নিজের বাড়িতেই ‘কারবার’ চালাচ্ছিলেন মুজিবর। এরপরই দুবরাজপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।
বীরভূমের পুলিশসুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, “আমরা ১১ তারিখ আমরা শেখ মুজিবরকে ধরি। আমরা পাঁচ ছ’মাস ধরে এর উপর নজরদারি চালাচ্ছিলাম। এর কাছে কিছু অস্ত্র, বোমা রাখা আছে বলে জানতে পারি। দুবরাজপুর ওসির নেতৃত্বে তিনটি টিম করে আমরা অভিযান চালাই। এর কাছ থেকে গান পাউডার, বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাই। একে জিজ্ঞাসাবাদ করে আজ তিনটে সিঙ্গল শটার, দু’টো ডবল শটার পাই।” ধৃতকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য উঠে আসবে বলেই মনে করছে তদন্তকারীরা। মুজিবর অজয় নদের চরে বোমা তৈরির মশলা বিক্রি করতে গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
বোমা উদ্ধার থেকে রাজনৈতিক অশান্তি বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে বীরভূম। বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী এই বীরভূমে দাঁড়িয়েই বলে গিয়েছিলেন, যেখানে যত বেআইনি অস্ত্র, বোমা মজুত আছে, তা উদ্ধার করতে হবে পুলিশকে। এরপরই পরপর বোমা, বিস্ফোরক উদ্ধার শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। বীরভূমেরও নানা জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। ফের বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সামগ্রী উদ্ধার হল এই জেলা থেকেই।