হালিশহর যাওয়া আটকাতেই কি আচমকা তল্লাশি পুলিসের? মমতাকে তুলোধনা করে প্রশ্ন অর্জুনের

ব্যারাকপুর: ভরসন্ধ্যায় হালিশহরে পিটিয়ে খুন করা হল বিজেপির (BJP) এক তরুণ বুথ সভাপতিকে। আবার কাকতলীয়ভাবে, এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Sing) বাড়িতে আচমকা তল্লাশি চালাতে হাজির হল ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট শাখার আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, সেই সময় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল অর্জুন সিংয়ের। কিন্তু পুলিস এসে যাওয়ার কারণে তিনি আর সেখানে যেতে পারেননি।

এই ঘটনায় খুব প্রত্যাশিতভাবেই প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। তাঁর দাবি, হালিশহরে দলীয় কর্মী খুনের ঘটনার মোড় ঘোরাতেই পুলিস ১৯৮০ সালের মিটে যাওয়া মামলা নিয়ে হেনস্থা করতে এসেছে। টুইট করে তিনি এই দাবি করেন। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আমাদেরকে শুধুমাত্র হেনস্থা এবং কলুষিত করার জন্যই মমতা ব্যানার্জি সরকার এটা করছে। যাঁরা খুনটা করেছেন তাঁরা ভাবছেন মমতার সরকার চিরদিন থাকবে। ওরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আজকে যাতে আমরা ওখানে যেতে না পারি, তার জন্যই এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে।’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে, কী জন্য এদিনের তল্লাশির চেষ্টা তাও গোপন রেখেছে পুলিস।

অর্জুনের এই টুইট উদ্ধৃত করে রিটুইট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। তিনি লিখেছেন, “মমতার রাজত্বে এক করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বেচারি হতাশ এবং উন্মাদ হয়ে গেছেন। অর্জুন সিং আপনি ইস্পাতের মতই দৃঢ় এবং লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে আপনার পাশে। এর একটা বিহিত হবেই।”

প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় হালিশহরের বুকে বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপির বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। মৃত বিজেপির বুথ সভাপতির নাম সৈকত ভাওয়াল (৩৩)। ঘটনার জেরে হালিশহর বলদেঘাটা এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন: বিজেপি বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে খুন হালিশহরে, শুভ্রাংশু বললেন, ‘বদলা হবেই’

সূত্রের খবর, এদিন হালিশহর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গৃহ সম্পর্ক অভিযান চালাচ্ছিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। আচমকাই সেখানে বাইকে করে হাজির হয় ২৫-৩০ জন দুষ্কৃতী। শুরু হয় এলোপাথাড়ি মার। মারের চোটে সৈকত ভাওয়ালের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। হামলাকারী সকলেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে দাবি করেছেন শুভ্রাংশু। বীজপুরের বিধায়ক বলেন, ‘আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। আমি বলতে পারব না আরেকটা মায়ের কোল খালি হোক। কিন্তু বদলা হবেই। যাঁর কোল খালি হল, সে ছেড়ে দেবে না।’