Subhas Sarkar: ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের মান কে নির্ণয় করবে?’, প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা পৃথিবীজুড়ে যে কাজ করেছেন সেটা উল্লেখযোগ্য। তিনি অনেক পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।

Subhas Sarkar: 'সিভিক ভলান্টিয়ারদের মান কে নির্ণয় করবে?', প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার
বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 4:16 PM

বাঁকুড়া: প্রাথমিকের পড়ুয়াদের অঙ্ক ও ইংরেজির ‘বিশেষ পাঠ’ দেবেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরা (Civic Volunteer)। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তরফে চালু হওয়া ‘অঙ্কুর’ প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবার এই বিষয়ে কটাক্ষ করলেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। ক্লাস নেওয়ার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের মান কে নির্ণয় করবে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য, “এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে অত্যন্ত লজ্জার।” রাজ্য চালাতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন বলেও তোপ দাগেন তিনি।

বর্তমানে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীর অভাবে রাজ্যের প্রায় ৮ হাজার স্কুল বন্ধ হতে চলেছে। কিন্তু, স্কুলে শিক্ষক নেই বলে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ক্লাস করানোর ঘটনা অর্বাচীন বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এপ্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “সিভিক ভলান্টিয়ারদের মান কে নির্ণয় করবে? তাঁদের কে মনিটরিং করবেন? মনিটরিং কমিটি হয়েছে কি?” যদিও এটা সাপ্লিমেন্টারি কৌশল এবং জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক সহজ করতেই এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে সুভাষ সরকার বলেন, “কমিউনিটি সার্ভিস এভাবে হয় না। এসআই, এএসআই দিলেও কাজ দিত। প্রকৃত সাপ্লিমেন্টারি ক্লাস হলে আপত্তি নেই। কিন্তু যেখানে শিক্ষক নেই সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারকে পড়াতে পাঠানো হচ্ছে, এটা ঠিক নেই।” শিক্ষকতা করার জন্য তার যোগ্যতা থাকা জরুরি এবং সেটা দেখার জন্য মনিটরিং কমিটি গড়া উচিত বলেও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী।

শুধু স্কুল নয়, ৫ বিশ্ববিদ্যালয়েও স্থায়ী ভিসি নেই। ভিসি না থাকায় বারবার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এপ্রসঙ্গে সুভাষ সরকারের কটাক্ষ, “শিক্ষা দফতর একেবারে গোল্লায় গিয়েছে। তাদের আধিকারিকদের কীভাবে বাঁচাবে এই চিন্তাতেই মগ্ন সরকার।” অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছোট ও মাঝারি ক্ষেত্রে ৪৪ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটা নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। এপ্রসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির উদাহরণও টেনে আনেন তিনি।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন বলে নরওয়ের নোবেল কমিটির বক্তব্যে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। তবে শুধু নোবেল নয়, প্রধানমন্ত্রী আরও অনেক পুরস্কারের দাবিদার বলে দাবি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা পৃথিবীজুড়ে যে কাজ করেছেন সেটা উল্লেখযোগ্য। তিনি অনেক পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। শুধু দেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষের উন্নয়ন, শান্তির জন্য তিনি যে কথা বলছেন সেটা উল্লেখযোগ্য।”