পূর্ব মেদিনীপুর: কলকাতার রেস্টুরেন্টে কাজের সূত্রে পরিচয়। সেখান থেকেই প্রেম। স্ত্রীর অবর্তমানে প্রেমিকাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতেন যুবক। পুজোর কিছু দিন আগে বিয়েও করেন। দশমীর রাত থেকে তারপর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। সেই মহিলারই পচাগলা দেহ উদ্ধার হল বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের কাণ্ডপসরা গ্রামে। বস্তার ফাঁক দিয়ে বেরিয়েছিল কামিজ। তা দেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা আঁচ করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পূজা কুমারী মাইতি। তাঁর বাড়ি হাওড়া।
জানা গিয়েছে, দশমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন পূজা। ওই এলাকার বাসিন্দা দিল্লু মাইতির সঙ্গে কলকাতার একটি রেস্টুরেন্টে কর্মসূত্রে তাঁর পরিচয় হয়। পরবর্তীতে বিয়ে হয়। সেই থেকে মাঝেমধ্যেই ওই মহিলা দিল্লুর কাণ্ডপসরার বাড়িতে যেতেন। অপরদিকে দিল্লু মাইতির প্রথমপক্ষের স্ত্রীও গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। আগেও একাধিকবার দিল্লুর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে মৃতা মহিলার ঝামেলা হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় একটা দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল। গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন দিল্লুর বাড়ির পিছন থেকেই গন্ধ আসছে। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দশমীর পর থেকে দিল্লুর বাড়িতেও আর কাউকেই দেখা যায়নি। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে নোংরার মধ্যে এক মহিলার কামিজ তাঁরা দেখতে পান। চণ্ডীপুর থানায় খবর দিলে, পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীদের অনুমান, পূজা কুমারী নামে ওই মহিলাকে খুন করে প্রমান লোপাটের জন্য বস্তাবন্দি করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতার একটি শিশুকন্যাও রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। ঠিক কী কারণে এই মৃত্যু ? কীভাবে ঘটনা ? কে বা কারা যুক্ত? এই সব উত্তরের খোঁজে পুলিশ।
যদিও এই বিষয় এলাকাবাসী বা পুলিশ প্রশাসনের কেউ কোনও ভাবেই মুখ খুলতে চাননি এই ঘটনা নিয়ে।