ঢোলাহাট: হঠাৎ করেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে উঠল বাড়ি সহ গোটা এলাকা। বাজির মতো শোনা যায় পরপর বোমা ফাটার শব্দ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, উড়ে যায় বাড়ির ছাউনির বেশ কিছুটা অংশ। এমনকি বাড়ির ভিতরে থাকা আসবাবপত্র-সহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিটকে বাইরে পড়ে। রবিবার দুপুরে এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার ঢোলাহাট থানার পাকুড়তলা গ্রামে। ওই গ্রামের এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢোলাহাট থানার পাকুড়তলা গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল খাঁর বাড়িতেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে এটি বোমা বিস্ফোরণ বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় আসাদুল খাঁ বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বাড়ির ভিতরে বোমা কীভাবে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকে আসাদুল খাঁ পলাতক। তার খোঁজ শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত আসাদুল খাঁ। একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। এদিন সকাল থেকে আসাদুল ও তাঁর পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। তারপর বিকাল সাড়ে ৩টে নাগাদ হঠাৎ করেই ওই বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা শোভান আলি খানের কথায়, “পরপর অন্তত ১০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।” আসাদুল তাঁর বাড়িতে বেআইনিভাবে বোমা মজুত রেখেছিলেন বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ। কিন্তু, তিনি কেন বাড়িতে বোমা মজুত রেখেছিলেন, এখনও বোমা রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। পলাতক আসাদুল খাঁয়ের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত আসাদুল খাঁয়ের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের বিরুদ্ধে বোমা মজুতের অভিযোগ উঠছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। আসাদুল খাঁ আইএসএফ কর্মী বলে দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাজি অঞ্চলের সভাপতি বাঁকিবিল্লা বনগী। যদিও পাল্টা আসাদুলকে তৃণমূল কর্মী এবং তৃণমূলের ছেলেরা বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে অভিযোগ আইএসএফের জেলা সম্পাদক বাহাউদ্দিন মোল্লার।