সিবিআই-এর পাতা আবেগের জালেই ধরা পড়ে জুনিয়র মৃধা খুনে অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jan 05, 2021 | 9:17 PM

২০১১ সালের ১২ জুলাই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিসিয়ার ব্রিজের কাছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয় নগরের বাসিন্দা জুনিয়র মৃধা। পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি

সিবিআই-এর পাতা আবেগের জালেই ধরা পড়ে জুনিয়র মৃধা খুনে অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা
সিবিআই-এর পাতা আবেগের জালেই ধরা পড়ে জুনিয়র মৃধা খুনে অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা

Follow Us

বারাকপুর: নয় বছর আগে জুনিয়র মৃধা (Junior Mridha) খুনের ঘটনায় তাঁর বান্ধবী অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাকপুর আদালত। এর আগে নাগাড়ে প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রিয়াঙ্কার কথায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে। এদিন আদালতে ঢোকার মুখে পুলিসি ঘেরাটোপের মধ্যেই প্রিয়াঙ্কা দাবি করেন, “আমি দোষী নই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”

২০১১ সালের ১২ জুলাই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিসিয়ার ব্রিজের কাছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয় নগরের বাসিন্দা জুনিয়র মৃধা। পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুদিনের প্রেম ছিল মডেল প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর। প্রথমে জুনিয়রের দেহ উদ্ধার করে বরাহনগর থানার পুলিস। প্রথমে পুলিস অনুমান করেছিল, পথ দুর্ঘটনায় জুনিয়রের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের সময় তাঁর পিঠের শিরদাঁড়া থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তলের গুলি পাওয়া যায়। এরপরই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। বরাহনগর থানা থেকে তদন্তের ভার নেয় সিআইডি।

জুনিয়রের মোবাইলের কললিস্ট থেকে পুলিস প্রিয়াঙ্কার নম্বর পায়। ঘটনাচক্রে তিনি আবার মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা বলরাম চৌধুরীর প্রাক্তন পুত্রবধু বলেও জানতে পারা যায়। তাঁকে জেরা শুরু করে সিআইডি। তখন প্রতীক শর্মা নামে এক টলি প্রযোজকের নাম উঠে আসে। কিন্তু তদন্ত বেশ কিছুদিন চলার পর তা ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর জুনিয়রের বাবা-মা ২০১৮ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। জুনিয়রের বাবার দাবি ছিল, প্রতীক ও প্রিয়াঙ্কা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সেই ত্রিকোণ প্রেমের জটিলতার জেরেই খুন হতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। আদালত জুনিয়র মৃধার খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়।

আরও পড়ুন: জানুয়ারির শেষে শুরু বাজেট অধিবেশন, করোনায় কমছে সময়সীমা

সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারে, ১২ জুলাই জুনিয়রের ফোনে রাত ৮টা থেকে ১০ টা অবধি মোট ২০ বার কল করা হয় প্রিয়াঙ্কার মোবাইল থেকে। এরপরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে প্রিয়াঙ্কার কথায় অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। জুনিয়র খুনের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা জড়িয়ে থাকার প্রমাণ মেলে তাঁর কথাবার্তায়। এরপর সিবিআই গতকালই তাঁকে গ্রেফতার করে।

সূত্রের খবর, সিবিআই জেরার সময় প্রিয়াঙ্কার কিছু আবেগই খুনের রহস্য ফাঁস করিয়ে দেয়। এরপর মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কাকে বারাকপুর আদালতে তোলে সিবিআই। ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইলে আপাতত সাতদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ইস্তফা নিয়ে মমতা বললেন, ‘ও ভাল ছেলে, খেলাতে বেশি মন দিতে চায়’

Next Article