Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের সিবিআই নোটিশ, বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

May 13, 2022 | 9:01 PM

Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নন্দীগ্রামে আবু তাহের সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের নামে সিবিআই নোটিশ। এড়াতে পারেন হাজিরা। আইনি পথেই লড়াইয়ের রাস্তায় তৃণমূল।

Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের সিবিআই নোটিশ, বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর
ছবি - চাপানউতর বাড়ছে নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক মহলে

Follow Us

 

নন্দীগ্রাম: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নতুন করে নাম জড়াল নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের (TMC leaders of Nandigram)। নাম এসেছে ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা আবু তাহের,শেখ খুশনবিস সহ আরও একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের। যা নিয়ে তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরেও। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবু তাহের। তাঁর দাবি, চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি হত্যা মামলা সহ একাধিক মিথ্যা ঘটনায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের নাম। এই কাজের জন্য বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। নেপথ্যে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Opposition leader Shuvendu Adhikari)। 

প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা ভোটে এই নন্দীগ্রামেই নজর ছিল বাংলা পাশাপাশি গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের। যে নন্দীগ্রামের কাঁধে ভর করে ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল, সেখানেই তৃণমূল ত্যাগী শুভেন্দুর সঙ্গে জোরদার টক্কর দেখতে পাওয়া যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে, বিধানসভা ভোটে ঘাসফুল শিবির বড় ব্যবধানে জিতলেও অস্বস্তি বাড়তে থাকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে। রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ধরে ধরে বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের নিশানা করার অভিযোগ ওঠে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। যার রেশ এখনও চলছে। এবার সেই মামলায় একেবারে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। 

যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা আবু তাহের বলেন, “শুভেন্দু  অধিকারী একাধিক রাজনৈতিক  সভায় গিয়ে বলছেন ১০০ জনের তালিকা তৈরি করেছেন। ঠিক তার পরই দেখা যাচ্ছে সিবিআই নোটিশ পাঠাচ্ছে। এই সব করে তৃণমূলের উন্নয়নকে আটকানো যাবো না। এই নোটিশের জবাব আইনি পথেই দেব। দলের সাথে আলোচনা করেছি। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাব আমরা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রামে বিধায়কের চেষ্টায় মাঠ ফাঁকা করতে চাইছেন শুভেন্দু। উনি একজন স্বার্থপর, প্ৰতিহিংসা পরায়ণ লোক। যে সব ঘটনা সম্পর্কে আমি বা আমরা জানিনা সেই মামলায় আমাদের নাম দিয়েছে। তৃণমূল বহু কর্মী আজ আকারণে জেল খাটছে।  তাদের আটকানো হচ্ছে  প্রভাবশালী বলে। যারা দিন আনে দিন খায়, তারা আবার কীভাবে প্রভাব খাটাবে”?  

Next Article